গাজিয়াবাদের লোনির দৌলতনগর কলোনীতে ২২ নভেম্বর রাতে স্ক্র্যাপ ডিলার ইব্রাহিম (৬২) ও তার স্ত্রী হাজরাকে (৫৮) খুন করে ৫৪,০০০ টাকা লুট করার জন্য চার স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী। চারজনের মধ্যে একজন 12 বছরের শিশু। ঘটনার ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিলেন তিনি। এই চমকপ্রদ প্রকাশ করে পুলিশ শিশুসহ তিনজনকে আটক করেছে। 25 দিন ধরে পুলিশ ধরে নিচ্ছিল যে এই দম্পতির ঘনিষ্ঠ কেউ এই জোড়া খুনের সাথে জড়িত, কিন্তু 12 জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও ক্লু পাওয়া যায়নি। এরপর ওই দম্পতির প্রতিবেশী শিশুটির কথা জানান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সাথে সাথেই মামলাটি খোলা হয়। ডিসিপি ডাঃ ইরাজ রাজা জানান, অত্যন্ত সঠিক তথ্য পেয়ে প্রথম শিশুটিকে ধরা পড়ে। এরপর আসারা-২ আবাস বিকাশের বাসিন্দা মঞ্জেশ, এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা নিশান্ত কলোনির বাসিন্দা শুভম ওরফে শিবমকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রথমে হাজেরা তারপর ইব্রাহিমকে হত্যা করেন
আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা ভোর পাঁচটায় ইব্রাহিমের বাড়িতে পৌঁছায়। শিশুটি তার দরজায় ডাকল। কিন্তু ইব্রাহিম নয়, দরজা খুলতে এসেছেন তার স্ত্রী হাজেরা। শিশুটি জানায়, সে আবর্জনা বিক্রি করতে এসেছে। এ নিয়ে হাজেরা দাঁড়িপাল্লা নিতে ভেতরে গেলেন। এরপর শিশুটিসহ অন্য তিনজন ভেতরে প্রবেশ করে। তারা হাজেরাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর কক্ষে গিয়ে ইব্রাহিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং রুম লুট করে পালিয়ে যায়।
(Feed Source: amarujala.com)