প্রাচীন মিশরীয় নারীরা ত্বকচর্চার জন্য বিসওয়াক্স ব্যবহার করতেন। এটা আসলে মৌচাকের মোম। শ্রমিক মৌমাছিরা মধু রাখার জন্য মোম জমিয়ে মৌচাক তৈরি করে। সেই মোমই কাজে লাগানো হয় ত্বকচর্চায়। বর্তমানে অনেক মেকআপ, সানস্ক্রিন এবং শিশু পণ্যে বিসওয়াক্স ব্যবহার করা হয়।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য:
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান হিসেবে মোমের জগৎ জোড়া খ্যাতি। তাই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ যেমন ইরিসিপেলাস এবং ডার্মাটাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিসওয়াক্স ব্যবহার করা হয়।
অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি বৈশিষ্ট্য:
সাধারণ মোমের তুলনায় মৌচাকের মোম স্ফীত। সংবেদনশীল ত্বকের যে কোনও সমস্যায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। মোমে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি সোরিয়াসিস এবং একজিমা সহ বিভিন্ন প্রদাহজনক ত্বকের অবস্থার চিকিৎসায় সহায়তা করে।
বার্ধক্যের লক্ষণ প্রতিরোধ করে: বিসওয়াক্স ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, এটা বলিরেখা, ত্বকের কালো দাগ এবং অন্যান্য বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলো প্রতিরোধ করে।
বিপজ্জনক ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে: মৌমাছির মোমে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন এ বেশি পরিমাণে থাকে। এটা ইউভি এক্সপোজারের বিরুদ্ধে ত্বককে রক্ষা করে। অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলো ত্বকে ফুটে উঠতে দেয় না। তারুণ্য ধরে রাখে দীর্ঘদিন।
কার্যকরী হিউমেক্ট্যান্ট: হিউমেক্ট্যান্ট আর্দ্রতা ধরে রাখে, মোম সেই কাজটাই নিখুঁত ভাবে করে। এই গুণের কারণেই বেশ কিছু লোশন এবং ক্রিমে বিসওয়াক্স ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। মোম বাতাস থেকে আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ত্বকে ময়েশ্চারাইজড রাখে। ফলে ত্বক সারাদিন হাইড্রেটেড থাকে।
নিরাময় প্রক্রিয়া ত্বরাণ্মিত করে: মৌমাছির মোমে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক এবং ক্ষত নিরাময়ের প্রক্রিয়া ত্বরাণ্মিত করার অনন্য ক্ষমতা রয়েছে। ভিটামিন এ-র কারণেই এমনটা হয় যা যা ত্বকের কোষের পুনর্গঠন এবং পুনর্জন্মকে উৎসাহিত করে।
তীব্র শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসা করে: মোমে উপস্থিত কার্যকরী ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী শুষ্কতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আদর্শ। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় মোম ব্যবহার করা হয়, এটা অনিবার্যভাবে শুষ্কতা হ্রাস করে।
পরিবেশের টক্সিন থেকে ত্বককে রক্ষা করে: মৌমাছির মোম ত্বকে প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে। দূষণজনিত সমস্যা থেকে বাঁচায়। বায়ুঘটিত যে কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)