কোভিড নিয়ে নয়া উদ্বেগ রাজ্যজুড়ে। আসলে চিনে করোনা ছড়ানোর খবর যেন উদ্বেগকে বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকক্ষেত্রেই। আর তার মধ্যেই কোভিড ভ্যাকসিনের আকাল দেখা দিয়েছে রাজ্যে। এমনটাই খবর। রাজ্য়ের ভাঁড়ারে পর্যাপ্ত টিকা নেই বলে অভিযোগ। আর তার জেরে উদ্বেগটা যেন বাড়ছে ক্রমশ। কোভিশিল্ড ও কোর্বিভ্যাক্সের ভাঁড়ারে টানাটানি চলছে। প্রায় শূন্য ভাঁড়ার। এদিকে কোভ্যাক্সিন টিকা কিছুটা হলেও আছে। কিন্তু নতুন করে তার যোগান না হলে এই টিকার ভাঁড়ারেও টানাটানি পড়়ে যাবে।
এবার এই টিকার পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নের কাছে চিঠি পাঠাল রাজ্য়ে স্বাস্থ্য দফতর। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রিকশনারি ডোজের উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। টিকাকরণের গতি আরও বৃদ্ধি করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে টিকার ভাঁড়ারে টানাটানি থাকলে কতটা গতি আসবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, প্রতিদিন গড়ে ১২০০ ডোজ টিকা রাজ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এবার টিকার ভাঁড়ারের দিকে একটু নজর দেওয়া যাক। বর্তমানে রাজ্যে রয়েছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোভ্যাক্সিনের ডোজ। কোভিশিল্ড ও কোর্বিভ্যাক্সের ভাঁড়ার শূন্য। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটা এখন রাজ্যের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে ঠিক কত টিকা কেন্দ্রের কাছে চাওয়া যায় তার হিসেবে নিকেশও শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় সমস্য়ায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেই টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তবে ইতিমধ্যে করোনা মোকাবিলা নিয়ে দেশজুড়ে মকড্রিলের আয়োজন করা হয়েছিল।
করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে দেশ কতটা প্রস্তুত সেটাই একবার দেখে নিতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অক্সিজেনের যোগান কতটা রয়েছে, বেডের কেমন পরিস্থিতি, টিকার কী হাল, মাস্ক বা পিপিই কিট কেমন রয়েছে এসব নিয়ে একবার যাচাই করে নেওয়ার উদ্য়োগ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এই ধরনের মক ড্রিল করা হয়। জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী , আধিকারিকরা সহ বিভিন্ন দফতর এতে অংশ নিয়েছিল।
এসবের মধ্যে কোভিডের নতুন প্রজাতিকে ঘিরে টেনশন যেন বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। তবে সেটা প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায়। তবে আশার কথা এখনও বাংলায় কোভিডের গ্রাফ সেভাবে মাত্রাছাড়া নয়। করোনাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আর বিশেষ আতঙ্কও নেই। তবে কথায় আছে সাবধানের মার নেই। সেকারণে সকলকে সতর্ক করছে স্বাস্থ্যদফতর।
(Feed Source: hindustantimes.com)