#কলকাতা: শহর কিংবা গ্রামে রাস্তার ধারে ভুট্টা পুড়িয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। একটি কয়লার উনুন তার ওপর ভুট্টা রেখে পোড়াচ্ছে।দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষ ভুট্টাকে বেশি করে পুড়িয়ে খেতে পছন্দ করে। নইলে অনেকেই বলেন ভুট্টা কাঁচা থেকে যায়। কেউ ভাবে না যে, ভুট্টা পুড়িয়ে কালো করে খেলে তাতে ক্যান্সারের সম্ভাবনা রয়েছে। যা মানব জীবনের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাই অত্যধিক পোড়ালে এক্রেলেমাইড নামে একটি যৌগ তৈরি হয়। যাকে ক্যান্সারের কারণ বলছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ বলেন খাবার থেকে শরীরের কিংবা স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি যদি সবাই দেখেন, তাহলে কোন খাবার খাওয়া যাবে না। বিষয়টি যদিও সত্যি, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে খাবার খেলে আমাদের শারীরিক বৃদ্ধি ও পুষ্টি সমস্ত কিছুই নির্ভর করে।সেখানে কেন খাবারের গুণমান নিয়ে অবহেলা করা?
এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গবেষক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘’ভুট্টাতে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রড থাকে। আগুনে যখন পোড়ানো হয় তখন অত্যধিক তাপে ওই দুটি মিলে একটি যৌগ তৈরি হয়। যার নাম এক্রেলেমাইড। এক্রেলেমাইড হল কারসিনোজেন টু। যা ক্যান্সারের কারণ হিসাবে গবেষণায় পাওয়া গেছে। শুধু ভুট্টা নয় এইরকম কোন জিনিস পুড়িয়ে কিংবা ভেজে যদি কালো কিংবা অতি বাদামি রঙের করে ফেলা হয়। তাতেও একই ধরনের বিক্রিয়া ঘটে।’’
এছাড়াও তিনি জানান, ‘‘উনুনের উপর যখন ভুট্টা দেওয়া হয়। তখন নিঃসন্দেহে একটি তারের জাল কিম্বা লোহার কোন জিনিসের উপর দিয়ে পোড়ানো উচিত। তাতে অনেকটা কম পুড়বে। কয়লার স্পর্শে পোড়ানোর ফলে, কয়লার সঙ্গে থাকা ভারী মেটাল ভুট্টাতে চলে আসতে পারে। কারণ কয়লা একটি খনিজ পদার্থ। সমস্ত দিক নির্বাচন করে যদি একটু ভেবে খাওয়া যায়। তাহলে মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেকটাই উপকারী। এছাড়াও পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষে অনেকটাই স্বাস্থ্যকর।’’
(Feed Source: news18.com)