#কলকাতা: অবসরের পর যেন অর্থকষ্টে পড়তে না হয় এই ভাবনা থেকেই বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে অবসরের পর প্রতি মাসে পেনশনের সুবিধা পাওয়া যায়। প্রথমে এটা শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীদের জন্যই আনা হয়েছিল। ২০০৯ সাল থেকে সরকার বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্যও ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম খুলে দেওয়া হয়।
এই স্কিমে বিনিয়োগ করার পরে গ্রাহকের মৃত্যু হলে নমিনিকে যাবতীয় অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। পিএফআরডিএ-এর তৈরি নিয়ম অনুযায়ী, শুধুমাত্র মনোনীত ব্যক্তিই এনপিএ অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকা পাওয়ার অধিকারী। যদি আইনি উত্তরাধিকারি বা নমিনি থাকে তাহলে ডেথ উইথড্রয়াল ফর্ম পূরণ করে মৃত্যু শংসাপত্র, কেওয়াইসি রেকর্ড, ব্যাঙ্কের তথ্যের মতো প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে এনপিএস-এর টাকার দাবি করতে পারেন তিনি। ডেথ উইথড্রয়াল ফর্মেই সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্রের তালিকা দেওয়া থাকে।
মৃত গ্রাহকের নমিনি বা বৈধ উত্তরাধিকারীকে দাবি করার জন্য অবশ্যই কেওয়াইসি রেকর্ড, গ্রাহকের মৃত্যুর শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রমাণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি সহ বেশ কয়েকটি সহায়ক নথি দিয়ে সঠিকভাবে ডেথ উইথড্রয়াল ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। একাধিক নমিনি থাকলে ডেথ উইথড্রয়াল ফর্ম অবশ্যই সমস্ত নমিনিদের পূরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে।
কিন্তু অনেকবার এমন ঘটনাও সামনে এসেছে, যখন বিনিয়োগকারী কাউকেই নমিনি করে যাননি। এর ফলে এনপিএস-এ বিনিয়োগ করা টাকা তুলতে সমস্যা হয়। তাহলে ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে কাউকে নমিনি না করেই যদি বিনিয়োগকারী মারা যান, তাহলে কী হবে?
নমিনি করার আগেই বা কোনও অ্যাকাউন্টধারী যদি নমিনি না করেই মারা যান তাহলে অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকা তাঁর পরিবার বা আইনি উত্তরাধিকারীর কাছে চলে যায়। এর জন্য পরিবারকে উত্তরাধিকার সনদপত্র দেখাতে হবে। এই শংসাপত্রটি জমা দিতে হবে রাজ্যের রাজস্ব বিভাগে। এরপর সরকার যাচাই-বাছাই করবে। সেখানে যদি সব ঠিক থাকে তাহলে অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া টাকা পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
গুরুত্বপূর্ণ নথি:
ক) গ্রাহকের মৃত্যু শংসাপত্র
খ) গ্রাহকের আধার কার্ড, মনোনীত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীর আধার, কার্ড
গ) উত্তরাধিকার শংসাপত্র।