‘দিদির সুরক্ষা করতে গিয়ে নিজেদেরই সুরক্ষা বিপন্ন’, শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ নিয়ে কটাক্ষ রাহুলের

‘দিদির সুরক্ষা করতে গিয়ে নিজেদেরই সুরক্ষা বিপন্ন’, শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ নিয়ে কটাক্ষ রাহুলের

রামপুরহাট : ফের ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল নেতা। এবার রামপুরহাটের মেলেরডাঙায় তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy) ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। মেলেরডাঙা থেকে রামপুরহাটের (Rampurhat) রাস্তা বেহাল। প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তা মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর রামপুরহাটের বিষ্ণুপুরে গিয়েও স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ। এনিয়ে তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।

কী বলছেন বিক্ষোভকারীরা ?

মেলেরডাঙায় এক বিক্ষোভকারী সাংসদের সামনে দাঁড়িয়েই বলতে থাকেন, আপনি যতদিন এখানে আছেন, ততদিন আপনাকে বলছি যে, রাস্তার ব্যবস্থা করুন। এখানে আপনি যতদিন দাঁড়িয়েছেন, ততদিন আপনাকে-তৃণমূলকে ভোট দিচ্ছি। আপনি কী বলছেন বলুন। রাস্তা আমাদের দরকার। রোগী নিয়ে যেতে আমাদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে।

তাঁকে চুপ করিয়ে মজার ছলে সাংসদ প্রথমে বলেন, আপনি বলেছেন। আপনার কথা শুনে নিয়েছি। আজকে আপনি স্টার হয়ে গেলেন। পুরো টিআরপি আপনি পেয়েছেন। এরপর জানান, অনুমোদন হয়ে গেছে যখন, রাস্তা হয়ে যাবে।

পরে শতাব্দী বলেন, “বাড়ি পাননি অনেকেই বলছেন। বিধবা ভাতা আর বার্ধক্য ভাতা…এই তিনটি কথাই মূলত সবাই বলছেন। দুয়ারে সরকারে অনেকেরই নাম এসেছে। অনেকেরই নতুন করে নাম আসছে। সেগুলো হয়ে যাবে। এত লোকের হয়েছে। দুয়ারে সরকারে তো ৮০-৯০ শতাংশ সমাধান হয়ে গেছে। এখনই একজন মহিলা বললেন রেশন কার্ড হয়নি। বললাম, কেন হয়নি ? ওঁর হাতের ছাপই উঠছে না। এটা একটা সমস্যা।”

এপ্রসঙ্গে সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “দিদির সুরক্ষা করতে গিয়ে নিজেদেরই সুরক্ষা বিপন্ন হয়ে গেছে। তার কারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে বেশিদিন চলে না। রাস্তাঘাট তৈরি হয়নি, আবাস যোজনায় লুঠ। সর্বত্র পঞ্চায়েতের টাকায় মানুষ বঞ্চিত। অতএব যে সমস্ত পাপ এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা করেছে, এখন মানুষ আস্তে আস্তে খেপতে শুরু করেছে। যার জন্যই এই ঘেরাও-বিক্ষোভ। যত গ্রামেগঞ্জে দিদির সুরক্ষা করতে যাবে তত মানুষের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবেন। নিজেদেরই সুরক্ষা বিপন্ন হবে।”

পাল্টা তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা বাংলার মানুষকে আমাদের পরিবার মনে করি। পরিবারের মানুষের সুখে নয়, তাদের দুঃখ-কষ্টেও পাশে দাঁড়াতে হয়। আমরা কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের কাছে যাচ্ছি, কখনো বলিনি ১০০টা প্রকল্প ১০০টা মানুষকে দিয়ে দিতে পেরেছি। আমি নিজেই বীরভূমে আর একটা কর্মসূচিতে আছি। আমাকে বহু মানুষ ঘিরে ধরে বললেন, সমস্যার কথা । সেই মানুষগুলি আবার বাকি প্রকল্পগুলি নিয়ে খুশি। আমি বলছি, ১০টার মধ্যে ৮টা কাজ যে সরকার করতে পারে, বাকি ২টো কাজও সেই সরকার করবে। মানুষ জানে, করলে এরাই করবে। কোনও দিন দেখেছেন, বিজেপি বা সিপিএমকে ঘিরে অভিযোগ জানাতে। জানে করলে তৃণমূলই করবে, পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারবেন।”

(Feed Source: abplive.com)