আচমকা কী হল মৌমাছিদের, বিরাট ক্ষতির মুখে চাষীরা

আচমকা কী হল মৌমাছিদের, বিরাট ক্ষতির মুখে চাষীরা

মালদহ: জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। কুয়াশায় ঢেকে থাকছে দিনের অধিকাংশ সময়। এমন পরিস্থিতিতে মৌমাছি বাক্সের বাইরে বের হচ্ছে না। সরষে ফুল ফুটলেও মৌমাছি মধু সংগ্রহ করতে যাচ্ছে না। কুয়াশা ও ঠান্ডার জেরে মৌমাছি বাইরে আসছে। ফলে মধু সংগ্রহ হচ্ছে না। এমনটা হতে থাকলে লোকসানের মুখে পড়বেন মৌমাছি চাষীরা।

তাঁরা জানাচ্ছেন, আগামি কয়েকদিন এমন ঠান্ডা থাকলে চিনি খাওয়াতে হবে মৌমাছিকে। না হলে মৌমাছি মারা যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই সরিষার ফুল ফুটলেও আবহাওয়া খারাপ থাকায় মাথায় হাত পড়েছে মৌমাছি চাষীদের।

চলতি মরশুমে মালদহে সরিষা চাষ ভাল হয়েছে। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন মাঠে সরিষার ফুল ভাল ফুটেছে। সরিষার ফুল ভাল ফোঁটায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন জেলার মৌমাছি চাষীরা।

বছরের এই শীতের মরশুমে সরিষার ফুলের মধুর উপর নির্ভরশীল মৌমাছি চাষীরা। কারণ এই সময়ে মৌমাছিকে চিনি খাওয়ানোর প্রয়োজন হয় না। সরিষা ফুলের মধু থেকেই ভাল মধু সংগ্রহ হয়। বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে এই সময়ে সব থেকে বেশি মধু উৎপাদন হয়। আবহাওয়া ভালো থাকায় এই বছরও ভালো মধু উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে গত ১৫ দিন ধরে মালদহ জেলায় কুয়াশা ও ব্যাপক ঠান্ডা বাড়তে থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।

অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পড়তে থাকায় মৌমাছি বাক্স দেখে বাইরে বেরোচ্ছে না। চাষীরা বলছেন, বাইরে না বের হলে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবে না। এতে না খেয়ে মৌমাছি মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঠান্ডায় মৌমাছি মারা গেলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কৃষকরা মৌমাছিকে চিনি খাওয়ানোর পরিকল্পনা শুরু করেছেন।

যদিও চিনি খাওয়ালে মধু ভাল না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কৃষকরা জানাচ্ছেন, তাঁদর উপায় নেই আর। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা চিনি খাওয়ার উদ্যোগী হচ্ছেন। মালদহ জেলার উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জেলায় এই মরশুমে মধু উৎপাদন হয়েছিল প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন। তার থেকে বেশি মধু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কুয়াশা ও শীত বাড়তে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি মৌমাছি চাষী। জেলার মধু চাষিরা এই শীতের মরশুমে মালদহে বাক্স বসান। শীতের মৌসুমে ভাল মধু উৎপাদন হওয়ায় অনেক কৃষকই ঋণ নিয়ে মৌমাছি পালন করেন। শীতের কারণে মধু উৎপাদন না হলে অনেক কৃষক লোকসানের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

(Feed Source: news18.com)