অ্যাসিডিটি হলেই নিশ্চিন্তে যে ওষুধ খান তা নাকি ভুয়ো!জেলাতে হচ্ছিল সাপ্লাই,তারপর

অ্যাসিডিটি হলেই নিশ্চিন্তে যে ওষুধ খান তা নাকি ভুয়ো!জেলাতে হচ্ছিল সাপ্লাই,তারপর

#কলকাতা: আবার জাল ওষুধের চক্র ধরা পড়ল কলকাতার বাগরি মার্কেটে। দীর্ঘদিন ধরে মফস্বলের বিভিন্ন ওষুধ দোকানে নামি দামি কোম্পানির বিভিন্ন ধরণের জাল ওষুধ যাচ্ছিল।যেগুলো অর্ধেকেরও কম দামে বিক্রি করার প্রলোভন দিচ্ছিল একটা চক্র। এই ওষুধগুল মূলত ট্যাবলেট, ক্যাপসুল।

সেই চক্রের খবর ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে আগেই পৌঁছেছিল।কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি মিটিং-এ বলেছিলেন জাল ওষুধ ছড়াচ্ছে।  ১৭ জানুয়ারি রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল এবং সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা ক্রেতার বেশে ক্যানিং স্ট্রিটের মেহতা বিল্ডিং এবং বাগরি মার্কেটের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে ঘুরে বেড়ান।তারপর বাগরি মার্কেটের  একটি ওষুধের দোকানে তারা হানা দেয়।সেখানে গিয়ে নামি ব্র্যান্ডের অত্যধিক প্রচলিত অম্বল গ্যাসের ক্যাপসুল তারা খুঁজে পায়।ওই ক্যাপসুল হুবহু নকল বলে দাবি ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে।

অভিযুক্ত দোকানের মালিক ওই ওষুধের কেনার চালান দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। অবশেষে সেই অভিযুক্তের দোকান থেকে পাঁচ থেকে ছয় কার্টন প্যান্টোপ্রাজল গ্রুপের ক্যাপসুল উদ্ধার করে ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকেরা। যা সংখ্যায় আনুমানিক ৫০ হাজারটি। অভিযুক্তকে   গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করে।আদালত তার ৩০  জানুয়ারি অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

বাগরি মার্কেটে অভিযুক্ত ওষুধ দোকানের পাশের দোকানদার সমীরণ বোস জানান,  ‘‘বেলা দুটো থেকে বেলা ৬টা অবধি দোকান চলত। তিনি বিনা চালানের মাল কেনাবেচা করতেন।’’ এ বিষয়ে বাগড়ি,মেহতা বিল্ডিং এর হোলসেল বিসিডিএ সংগঠনের সম্পাদক সঞ্জীব দাস বলেন, ‘‘ অভিযুক্ত আমাদের সদস্য নয়। তিনি আমাদের কোন নিয়ম-কানুন মানতেন না।যোগাযোগ রাখতেন না। তার কাছ থেকে যা কিছু পাওয়া গেছে সেগুলো যদি জাল হয়!তাহলে খুব অন্যায়।বিসিডিএর সদস্যরা নিজেদের স্বচ্ছ রাখবার চেষ্টা করে। এখানে কোন দুর্নীতি হয় না।’’

তবে এই জাল ওষুধ কোথা থেকে আসছে ?কারা এর সঙ্গে জড়িত ?সেটা নিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোল তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ।তবে ভিন রাজ্যের বেশ কিছু ব্যবসায়ী জড়িয়ে রয়েছে বলেই দাবি,ড্রাগ কন্ট্রোলের।

 (Feed Source: news18.com)