Nora Fatehi Vs Jacqueline Fernandez: ‘জ্যাকুলিনকে হিংসে করে নোরা, ওর বিরুদ্ধে আমার ব্রেনওয়াশ করত’ বিস্ফোরক দাবি সুকেশের

Nora Fatehi Vs Jacqueline Fernandez: ‘জ্যাকুলিনকে হিংসে করে নোরা, ওর বিরুদ্ধে আমার ব্রেনওয়াশ করত’ বিস্ফোরক দাবি সুকেশের

Nora Fatehi Vs Jacqueline Fernandez, Sukesh Chandrashekhar, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘জ্যাকুলিন আমার থেকে কিছু চায়নি, আমিই ভালোবেসে ওকে সব দিয়েছি। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ সম্পর্কে ও কিছুই জানত না।’ কিছুদিন আগেই প্রাক্তন প্রেমিকাকে বাঁচাতে চিঠি লিখেছিলেন এই মামলার মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর। ফের একবার জেল থেকে চিঠি লিখলেন অভিযুক্ত। বর্তমানে দিল্লির মান্ডোলি জেলে বন্দি তিনি। এদিন ফের জেল থেকেই সরব হলেন তিনি। তবে এবার নোরা ফতেহির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর।

সুকেশের দাবি, কিছুদিন আগেই নোরা আবেদন করেছিলেন যে, জ্যকুলিন তাঁকে বিনা কারণেই অপমান করছেন। তাঁর সম্মানহানি করতে ও তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দিতেই তাঁর নাম জড়িয়েছে এই মামলায়। কিন্তু তা সত্যি নয়। ২০ তারিখের চিঠিতে সুকেশ দাবি করেন যে, ইডির কাছে নোরা যে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন আর ইকোনমিক অফেন্স উইং-এ যে স্টেটমেন্ট তিনি দিয়েছেন, সেই দুটি আলাদা। এর পিছনে নোরার খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে, সেই কারণেই তিনি পুরো বিষয়টি ম্যানিপুলেট করতে চাইছেন।

সুকেশ চন্দ্রশেখর লেখেন, নোরা বরাবরই জ্যাকুলিনকে হিংসে করতেন। জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে সুকেশের ব্রেনওয়াশ করতেও পিছপা হননি নোরা। নোরা চাইতেন যে, সুকেশ জ্যাকুলিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে তাঁর সঙ্গে থাকুন। সুকেশ আরও লেখেন যে, নোরা তাঁকে দিনে ১০ বার ফোন করতেন। ফোন না তুললে তিনি ক্রমাগত ফোন করেই যেতেন। সুকেশের থেকে বিলাসবহুল গাড়ি নিতে অস্বীকার করেন, একথা সর্বৈব মিথ্যে বলে জানান সুকেশ চন্দ্রশেখর। তিনি লেখেন যে, ‘নোরা বরাবরই আমার পিছনে পড়েছিল। নিজের গাড়িতে চেঞ্জ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ওর নিজের গাড়িটাকেই ওর চিপ মনে হত। আমিই ওকে গাড়ি কিনে দিই। সেই চ্যাটের সব স্ক্রিনশট আমি ইডিকে প্রমাণ হিসাবে পাঠিয়েছি। ওকে রেঞ্জ রোভার কিনে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএমডব্লু ফাইভ সিরিজ কিনে দেওয়া হয়। কারণ ওর তখন খুব তাড়া ছিল। ঐ গাড়িটি নিজের নামে না নিয়ে ওর বন্ধুর বর ববি খানের নামে রেজিস্টার করায় নোরা।’

ইতমধ্যেই নোরা ইডিকে জানিয়েছে যে, ‘আমায় সুকেশের স্ত্রী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ে একটি ইভেন্টে আমন্ত্রণ করে। সেখানেই আমাকে উপহারস্বরূপ একটি আই ফোন, গুচি ব্যাগ ও একটি বিএমডব্লু দেওয়া হবে জানানো হয়। আমি ব্যাগ ও ফোন নিলেও গাড়িটি আমার জামাইবাবুকে দেওয়া হয়। সে ২০২১ সালে আর্থিক কারণে ঐ গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছে।’ সুকেশের দাবি, ‘নোরার সঙ্গে কখনও প্রফেশনাল লেনদেন হয়নি, শুধুমাত্র একটি ইভেন্টের জন্য তাঁকে একবার অফিসিয়াল পেমেন্ট দেওয়া হয়েছিল। জ্যাকুলিনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, তাই নোরাকে এড়িয়ে চলতাম। ববির মিউজিক কোম্পানি তৈরিতেও সাহায্য চেয়েছিল নোরা। আমি টাকাও দিয়েছিলাম। এমনকী নোরা বিভিন্ন সময়ে হার্মেসের ব্যাগ, জুয়েলারি চেয়েছে, সব কিনে দিয়েছি। ওর ব্যাগের দাম ২ কোটি টাকা। সেই ব্যাগের বিল ও দেখাতে পারবে? মরক্কোয় বাড়ি কেনার জন্য বিশাল অঙ্কের টাকাও নিয়েছে নোরা।’

জ্যাকুলিনের প্রসঙ্গে সুকেশ লিখেছেন, ‘জ্যাকুলিনকে ভালোবাসতাম, সম্মান করতাম। ওর জীবনে এই গোটা এপিসোডটা ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আগেও বলেছি। এটা আমার দায়িত্ব ওকে এখান থেকে বের করা। কারণ এর সঙ্গে ওর কোনও যোগাযোগ নেই। আমার কাছের লোকেদের হেনস্থা করা হচ্ছে, শুধুমাত্র আমার উপরে চাপ সৃষ্টি করার জন্য। তাড়াতাড়িই এগুলো প্রমাণ হয়ে যাবে। আর জ্যাকুলিন EOW-র সামনে যা বলেছে, আমি নিশ্চিত যে তার পিছনে কারণ ছিল। তবে আমি ওর পাশে থাকব। ও যে নির্দোষ তা প্রমাণ করব।’

(Feed Source: zeenews.com)