স্কুলে চাঁদা উঠল ১,৫০,০০০ লক্ষ টাকা, কেন এই টাকা তোলা হল? জানলে অবাক হবেন!

স্কুলে চাঁদা উঠল ১,৫০,০০০ লক্ষ টাকা, কেন এই টাকা তোলা হল? জানলে অবাক হবেন!

উত্তরপ্রদেশ:  বারবার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই অবশেষে স্কুলের প্রিন্সিপাল, শিক্ষকরা নিজেরাই চাঁদা তুলে বিদ্যুৎ আনলেন স্কুলে৷ উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে ঘটেছে এমনই এক ঘটনা৷

২০১০ সাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই চলছে উত্তরপ্রদেশের এই স্কুলটি ৷ তেরো বছরে বহুবার সরকারের কাছে স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে স্কুলের পক্ষ থেকে৷ অবশেষে এই শনিবার বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে উঠল স্কুলের অন্দরে৷ শীতকালের চেয়ে অনেক বেশি কষ্টদায়ক গরমকাল৷ স্কুল জুড়ে থাকা ১২ টি ঘরে ফ্যানের হাওয়া ছাড়া হাঁসফাস করে ওঠে ছাত্রছাত্রীরা৷

তাই তাদের সমস্যার সমাধানে তাই এগিয়ে এলেন স্কুলের শিক্ষকরাই৷ প্রিন্সিপাল ড: রবি-সহ প্রত্যেক শিক্ষক নিজেদের বেতন থেকে ২৫,০০০ টাকা করে দান করেছেন৷ সব মিলিয়ে ১,৫০,০০০ টাকা চাঁদা উঠে আসে৷ তারপর সেই টাকা দিয়েই কেনা হয় বৈদ্যুতিক তার এবং ট্রান্সফরমার৷

প্রিন্সিপালের কথায় ‘‘২০১০ সালে যখন প্রথমবার এই স্কুলে যোগ দিয়েছিলাম তখন কোনও ইলেকট্রিসিটি কানেকশন ছিল না৷ এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা সকলের কাছে আবেদন করেছি৷ কমপক্ষে কুড়িটিরও বেশি চিঠি লিখেছি জন প্রতিনিধিদের কাছে, কিন্তু সবই পণ্ডশ্রম৷ ২০১০ থেকেই এই বিদ্যালয় উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি৷’’

চাঁদা তুলে জোগাড় করা ৮০,০০০ টাকা বিদ্যুৎ বিভাগকে দেওয়া হয়েছে কানেকশন এবং ট্রান্সফরমারের জন্য৷ বাকি টাকা লাগানো হয়েছে ২০০ মিটার লম্বা কেবল তার এবং স্কুলের ঘরগুলোকে ওয়ারিং করার সরঞ্জাম কেনা হবে৷ ট্রান্সফরমার থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত সংযোগ করতে ব্যবহার করা হবে এই তার৷

প্রিন্সিপাল আরও জানান, ‘‘ ২৫ জানুয়ারি ট্রান্সফরমার বসানো হলেও তার কাজ শুরু হল এই শনিবার থেকে৷ এখন এই বিদ্যালয়ে মোট ২৫৩ জন ছাত্রছাত্রী আছে৷ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে স্কুল ঘরগুলির জন্য সিলিং ফ্যান দেওয়া হবে৷ তবে বিদ্যুতের অভাবে এতদিন সেগুলি লাগানো হয়নি। প্রায় এক দশকের অপেক্ষার অবসান হবে এবার। পড়ে থাকা ফ্যানগুলি এবার চলতে শুরু করবে।’’

(Feed Source: news18.com)