‘বাঘ, তবে প্রভাবশালী নয়!’ অনুব্রতকে নিয়ে এ কী বললেন কুণাল

‘বাঘ, তবে প্রভাবশালী নয়!’ অনুব্রতকে নিয়ে এ কী বললেন কুণাল

কলকাতা: একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে অনুব্রত প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন।

বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অর্মত্য সেনকে লক্ষ্য করে অনভিপ্রেত মন্তব্য করেছেন। পারিবারিক জমি সহ সমস্ত ডকুমেন্টস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন। এর পরেও তর্কে জড়ানো উচিত নয় ওনার। অপমান, কুৎসা করলে বাংলার মানুষ পছন্দ করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথাযথ ভাবে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন। কে কতটা বলতে পারে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য রাখছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। তাঁর বক্তব্যকে কলুষিত করছেন।”

অনুব্রত প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “বাঘ দু রকমের। সুন্দরবনের বাঘ আছে আবার খাঁচায় বন্দি বাঘ আছে। প্রথমজন প্রভাবশালী বাঘ, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে প্রভাবশালী নয়।” বাজেট প্রসঙ্গ কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র জনবিরোধী নীতির ওপর দাঁড়িয়ে চলছে। দেশ যেন মুদ্রাস্ফীতির দিকে না যায়। জ্বালানির বেসিক দাম কমানো হোক৷ আয়কর ছাড় বাড়ানো হলে ভালো৷ এল আই সি’ বা এমন সংস্থার বিলগ্নীকরণ যেন না হয়৷ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক যাতে সুরক্ষিত থাকে।”

কুণাল আরও বলেন, “রাজ্যের কাজ ভাল। নেতিবাচক খবর তৈরি করতে অনেকে নানা রকম চেষ্টা করছেন। এত বড় সিস্টেমে কে কোথায় কী পেয়েছেন, সেটা বলা সম্ভব নয়। শুভেন্দুর ট্যুইট দেখলে মনে হয়, হাল্লা চলেছে যুদ্ধে। কেন্দ্র টাকা দেবে না, আর কুকুর-বিড়াল দিয়ে চিৎকার করাবেন তা হয় না। এবার থেকে শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় দলের হাতে কম্পাস দিয়ে দিন। কেন্দ্রীয় দল কোথায় যাবে, সেটা দেখে বুঝে নিতে পারবেন।”

কুণাল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী ছিলেন যখন তখন দেখা যেত ট্রেনে আরশোলা। তিনি সরে যেতেই আরশোলা নেই৷ এত বড় জায়গায় কে কি করছেন সেটা সম্ভব নয় জানা৷ হতেও পারে বাচ্চাটা বাড়িতে টিফিন বক্স নিয়ে গিয়েছিল সেখানেও আরশোলা আসতে পারে।”

(Feed Source: news18.com)