জিয়া যতদিন একসাথে বাঁচি, চল একসাথে মরব..তুরস্কের ভূমিকম্পের হৃদয় বিদারক গল্প

জিয়া যতদিন একসাথে বাঁচি, চল একসাথে মরব..তুরস্কের ভূমিকম্পের হৃদয় বিদারক গল্প
ছবি সূত্র: এপি
তুরস্কে ভূমিকম্পের পরের ছবি (ফাইল)

নতুন দিল্লি. ভূমিকম্প তুরস্ক এবং সিরিয়ার সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। এমন ধ্বংসযজ্ঞ আজ আগে কখনো দেখা যায়নি। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তাসের ঘরের মতো উঁচু ভবনগুলো ধসে পড়তে থাকে এবং সেখানে বসবাসকারী লোকজন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ভূমিকম্পের গতি এতটাই দ্রুত ছিল যে, পৃথিবী যেন মানুষকে দুলছে। দক্ষিণ তুরস্কের আদানা শহরের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন যে ভূমিকম্পের সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ভূমিকম্পের কারণে তারা এক মিনিটের জন্য এখান থেকে সেখানে দোলনার মতো দুলতে থাকে। তখন বুঝলাম এটা ভূমিকম্প।

পরিবারের সদস্যদের বললেন- চলো একসাথে মরে যাই

ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া এই ব্যক্তি বলেন, এত দ্রুত পৃথিবী কাঁপতে দেখে বুঝলাম এটা ভূমিকম্প। তখনই আমার মুখ থেকে এতটুকুই বের হতে পারে যে “এই ভূমিকম্প, এসো সবাই মিলে মরে যাও”। এদিকে আশপাশের ভবনগুলো ধসে পড়তে থাকে। ভয়ঙ্কর কণ্ঠস্বরের সাথে চিৎকার ও দৌড়াদৌড়ির শব্দ প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। আমার অ্যাপার্টমেন্ট এত দ্রুত কাঁপছিল যে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে কেউই থাকবে না। সেজন্য সবাইকে বলেছি চলো একসাথে মরে যাই। কারণ যতদিন আমাদের বাঁচতে হয়েছে, ততদিন আমরা একসাথেই ছিলাম। এবার মরার পালা তাই ভাবলাম কেন একসাথে মরব না। আমরা সবাই যখন বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে আসি তখন আশেপাশের বাড়িগুলো ভেঙ্গে পড়েছিল। তাদের মধ্যে বহু লোক সমাহিত হয়েছিল। এমন ভয়ংকর দৃশ্য আগে কখনো দেখিনি।

কণ্ঠস্বর আসতে থাকে বাঁচানোর জন্য, লোকেরা ভিডিও প্রকাশ করে সাহায্য চাইতে থাকে
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ার পর যারা বেঁচে গেছেন তাদের আর্তনাদ ও আর্তনাদে আতঙ্ক ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা। উদ্ধার ও ত্রাণ দলও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সাহায্যে পৌঁছানো এবং কাউকে সাহায্য করতে পারাও ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা এখনও আশঙ্কা করছেন যে আরেকটি ভূমিকম্প হতে পারে। যে কারণে সবাই ভয় পেয়ে গেল। কি করবে কেউ বুঝতে পারছিল না। পৃথিবী একটু কাঁপতে শুরু করলে মানুষ একে অপরকে সাহায্য করতে ছুটে যায়। ধ্বংসাবশেষের গভীরে চাপা পড়া লোকজনকে তাদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করতে দেখা গেছে। এর পর ত্রাণ দলগুলোও তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।

(Feed Source: indiatv.in)