কলকাতা: সব থেকে দামি জিনিস বললে কী মাথায় আসে? বাড়ি, গাড়ি, হিরে। আর একটু তলিয়ে ভাবলে এর সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণও জুড়ে দেওয়া যায়। কিন্তু যদি বলা হয়, এসব তো তুচ্ছ। একটা ফুলের দাম বাড়ি, গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণের খরচ যোগ করলেও কুলোবে না, তা হলে? মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার জোগাড়, তাই তো? কিন্তু এটাই সত্যি।
আজ রোজ ডে। শুরু হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন্স উইক। মনের মানুষকে গোলাপ উপহার দেওয়ার দিন। কিন্তু একটা গোলাপের দাম ১৫.৮ মিলিয়ন ডলার হতে পারে সে কথা জানা আছে কি? এর নাম জুলিয়েট রোজ। এই গোলাপ রোমিও জুলিয়েটকে দিয়েছিল কি না সে কথা শেক্সপিয়র লিখে যাননি। তবে প্রিয়তমার জন্য এই গোলাপ কিনতে চাইলে বাড়ি, গাড়ি নিলামে তোলা ছাড়া সাধারণ মানুষের কাছে অন্য পথ নেই। তবে শুধু জুলিয়েট রোজ নয়, এমন অনেক ফুল আছে যেগুলির দাম শুনলে মাথা ঘুরে যেতে বাধ্য। রোজ ডে-তে দেওয়া হল সে রকমই কিছু ফুলের তালিকা।
কদুপুল ফুল (অমূল্য):
কদুপুল এক ধরনের ক্যাকটাস। এগুলি রাতে ফোটে। এই ক্যাকটাস একমাত্র দেখা যায় শ্রীলঙ্কায়। এটা অমূল্য কারণ এর আয়ু অত্যন্ত কম। ফলে বিক্রি করা যায় না। তাছাড়া বিরলও বটে।
জুলিয়েট রোজ (১৫.৮ মিলিয়ন ডলার):
২০০৬ সালে চেলসি ফ্লাওয়ার শো-তে প্রদর্শিত হয় জুলিয়েট রোজ। নিয়ে এসেছিলেন ডেভিড অস্টিন। ১৫ বছরের চেষ্টায় এই ফুল ফোটান তিনি। বিক্রি করেন ১৫.৮ মিলিয়ন ডলারে। তারপর থেকে এটাই সবচেয়ে ব্যয়বহুল গোলাপ।
শেনজেন নংকে অর্কিড (২০০,০০ ডলার):
প্রাকৃতিক ভাবে এই অর্কিড তৈরি হয় না। চাষি খামারে ফোটান। ফুটতে সময় নেয় ৮ ঘণ্টা। অতি বিরল এই অর্কিড। সহজে চাষ করাও সম্ভব নয়। এই জন্যই শেনজেন নংকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুলের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
গোল্ড অফ কিনাবালু অর্কিড (প্রতিটা ফুলের দাম ৬০০০ ডলার):
এই ফুল একমাত্র দেখা যায় মালয়েশিয়ার কিনাবালু ন্যাশনাল পার্কে। স্বাভাবিকভাবেই বিরল। সৌন্দর্যও রাজকীয়। এই জন্যই ব্যয়বহুল। তবে এই ফুল বর্তমানে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে।
স্যাফ্রন ক্রোকাস (প্রতি পাউন্ড ১৫০০ ডলার):
এই ফুল থেকেই তৈরি হয় জাফরান। ১ পাউন্ড জাফরান বের করতে ৭০ হাজার ফুলের প্রয়োজন হয়। তাই জন্যই এর এমন লাগামছাড়া দাম।
টিউলিপ (৫,৭০০ ডলার):
টিউলিপ যে সব জায়গাতেই এমন দামি, তা নয়। তবে ১৭ শতকে হল্যান্ডে এর দাম আক্ষরিক অর্থেই আকাশ ছোঁয়। ধনী থেকে দরিদ্র, একটা টিউলিপ নিজের কাছে রাখার জন্য পাগল হয়ে যায়। দাম ওঠে চড়চড়িয়ে।