ঢাকা শহরের জ্যাম নিয়ে অভিযোগ চঞ্চলের, লিখলেন, ‘বাবা মায়েদের যুদ্ধের কথা’

ঢাকা শহরের জ্যাম নিয়ে অভিযোগ চঞ্চলের, লিখলেন, ‘বাবা মায়েদের যুদ্ধের কথা’

কলকাতা: ছেলেকে স্কুলে আনতে গিয়েছিলেন, আর তারপর সেখান থেকেই মনে পড়ল কত স্মৃতি। আর সেই মনের কথাকেই লম্বা লেখায় বাঁধলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)। অভিনেতা হলেও তাঁর কলমের বেশ প্রশংসা রয়েছে। নিজের মনের কথা অকপটে লিখে ফেলতে পারেন তিনি। সেখানে রইল তাঁর ছোটবেলার কথা থেকে শুরু করে নিজের শহর ঢাকাকে নিয়ে অভিযোগও।

আজ ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন তিনি। হাসিমুখে গাড়ির মধ্যে বসে ছেলের সঙ্গে সেলফিও পোস্ট করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। লিখেছেন, বহুদিন বাদে নাকি ছেলেকে স্কুল থেকে নিতে এসেছেন তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর মনে ভেসে উঠেছে ছোটবেলার কথা। চঞ্চল লিখছেন, ‘খুব আফসোস হয়, ছোটবেলায় আমাদের বাবা মা কোনোদিনই স্কুলে দেওয়া নেওয়া করেননি। গ্রামের স্কুল তো, দল বেঁধে সব ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে,- এক মাইল হেঁটে স্কুলে যেতাম আসতাম।’

কিন্তু বর্তমানে বদলে গিয়েছে সেই ছবিা। চঞ্চলের অভিযোগ, ঢাকা শহরে এখন প্রত্যেকটা রাস্তাতেই ভীষণ জ্যাম। সেই সঙ্গে অভিনেতা তুলে ধরেছেন পড়াশোনা চালানোর খরচের কথাও। চঞ্চলের কথায়, ‘আমার বিশ্বাস, আমাদের বাবা মা আমাদের মানুষ করার জন্য যে যুদ্ধ করেছেন, আমরা তাঁদের চেয়ে বেশী বৈকি কম যুদ্ধ করছি না, আমাদের সন্তানকে মানুষ করার জন্য।’

চঞ্চলের অভিযোগ, যাঁদের নিয়মিত সন্তানদের স্কুলে দেওয়া নেওয়া করতে হয় বা কোচিং ক্লাসে নিয়ে যেতে হয়, তাঁদের জীবনের অর্ধেক সময়েই চলে যায় এই কাজে। সবাই বিত্তশালী না হওয়ার কারণে অনেকেই নিজেরাই সন্তানদের নিয়ে যান স্কুলে ও কোচিংয়ে। রাস্তায় জ্যামের কারণেই এই সমস্যা।

সেই সঙ্গে চঞ্চল অনুরোধ করেছেন জ্যাম সম্পর্কে ব্যবস্থা নেওয়ার। অভিনেতা লিখছেন, ‘কোন প্রতিদান চাই না কারও কাছে….. শুধু নগর পিতার কাছে প্রার্থনা, রাস্তার জ্যামটা কমানোর জন্য কি কোনও আশু পদক্ষেপ নেয়া যায়? যে কোন ভাবে, সঠিক নিয়মে ঢাকা শহরের গাড়িগুলো চালানোর ব্যবস্থা করা যায় না? যেহেতু প্রয়োজনীয় কর পরিশোধ করেই এই শহরে থাকি, আমার এই চাওয়াটুকু মনে হয় অহেতুক নয়। প্রতিদিনের জ্যামে ওষ্ঠাগত প্রাণ।’

ছবিতে অবশ্য অভিনেতার মুখে বিরক্তির চিহ্ন নেই। ছেলে তাঁর প্রিয় সঙ্গী। খেলা দেখা থেকে শুরু করে গল্প, দিনের অনেকটা সময়েই ছেলের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করেন ঘরোয়া অভিনেতা। সেই ছেলেকে স্কুলে আনতে যেতে পেরেই খুশি চঞ্চল।