শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্মোগ টাওয়ার বসানোর পরিকল্পনা করেছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু বোস ইনস্টিটিউটের এক বিজ্ঞানীর পরামর্শে এই ধরনের টাওয়ার বসানোর পরিকল্পনা তারা বাতিল করেছে।
বোস ইনস্টিটিউয়ের বিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় এই টাওয়ার বসানোর পকিল্পনা বাতিল করতে বলেন। তাঁর কথায়,’আমার কানে আসে শহরে প্রাথমিক ভাবে একটি স্মোগ টাওয়ার বসানো হবে। এই খবর জানাতে পেরেই আমি কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করি। এর আগে একটি প্রকল্পের কাজে আমি কলকাতা পুরসভা সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমার পরামর্শ শুনে পুরসভা স্মোগ টাওয়ার বসানোর পরিকল্পনা বাতিল করে।’
মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, দিল্লিতে দু্’টি এই ধরনের টাওয়ার বসানো হয়েছে। যার এক-একটির দাম ২০ কোটি টাকা। বছরে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেড় কোটি টাকা। দিল্লির মতো অন্যান্য শহরগুলিও এই ধরনের টাওয়ার বসানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু কার্যকারিতা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্ন রয়েছে।’ তিনি মেনে নেন বিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পরমার্শের টাওয়ার বসানোর পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
কী ভাবে কাজ করে এই স্মোগ টাওয়ারগুলি?
এটি সূক্ষ্ম এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণাকে মোটা দানার ধুলিকণায় রূপান্তরিত করে। এই যন্ত্রটি টাওয়ারের আকারে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে ভ্যাকুয়ামের মতো এটি বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত বাতাসকে উপর থেকে টেনে নেয় এবং তারপর তার ভেন্ট দিয়ে ফিল্টার করা বাতাস ছেড়ে দেয়।
কী বলছেন অন্য বিশেষজ্ঞরা
লাং ফাইন্ডেশনের ট্রাস্টি রাজীব খুরানার মতে ঘরের বাইরে এর কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন,’স্মোগ টাওয়ার আসলে একটি বিশালাকৃতির এয়ার পিউরিফায়ার। এ ধরনের জিনিস ঘরের মধ্যে কার্যকারী।’ তাঁর মতে কলকাতা শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে একটা বা দু’টি স্মোগ টাওয়ার বাসিয়ে লাভ হবে না। কয়েক লক্ষ বসাতে হবে। যা বিপুল খরচ সাপেক্ষ। তার চেয়ে দূষণের উৎসতেই যদি তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে তা কার্যকরী পদক্ষেপ।
বিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কথার সুর ধরেই ন্যাশনাল এনভার্নোমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী কেভি জর্জ বলেন,’এই পিউরিফায়ারগুলি একশ শতাংশ কাজ করলেও বাতাসে বিপুল পরিমাণ দূষণের কাছে কার্যকরী হবে না।’
(Feed Source: hindustantimes.com)