জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘ডাউন সিনড্রোম’ সম্পর্কে মানুষ নিশ্চয়ই খুব একটা বেশি সচেতন নন। অথচ সারা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। প্রতি বছর ২১ মার্চ সারা পৃথিবীতে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালন করা হয় (World Down Syndrome Day)। এই দিনটি একটি অনন্য থিম মেনে পালিত হয় প্রত্যেক বছর। তাহলে এই বছর বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসের থিম কী? বা এই দিনটির গুরুত্বটা ঠিক কতটা? এই অপরিচিত রোগ সম্পর্কে বিশদে সব তথ্য জেনে নিন,
২০০৬ সালে ২১ মার্চ প্রথম বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালন করা হয়। বিশ্বব্যাপী ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উন্নতি এবং এই ব্যাধি সম্পর্কে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই দিনটি পালিত হয়। ডাউন সিনড্রোম ইন্টারন্যাশনালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় যে এই দিনে বিভিন্ন ইভেন্ট সংগঠিত করা হয়। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তি-সহ যাঁরা তাঁদের সঙ্গে কাজ করেন, সকলকে নিয়ে এই দিনটি সেলিব্রেট করা হয়। অর্থাৎ এই ভাবে সকলে মিলে একত্রিত হয়ে এই রোগ এবং এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিষয় সচেতনতা ছড়িয়ে দেন। তবে এখন প্রশ্ন হল এই ‘ডাউন সিনড্রোম’ আসলে কী? শরীরে, ক্রোমোজোম হল জিনের একটি “প্যাকেজ”। গর্ভাবস্থায় এবং জন্মের পরে একটি শিশুর শরীর কী ভাবে বিকশিত হয় তা নিয়ন্ত্রণ করে এই ক্রোমোজোমগুলি। মানবশিশুর সাধারণত ৪৬ টি ক্রোমোজোম থাকে। শরীরের কোষে অতিরিক্ত ক্রোমোজোম থাকলে তা, ডাউন সিনড্রোম নামের এই ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ক্রোমোজোম ২১ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ বাচ্চার মধ্যে একটি শিশু এই সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই শিশুদের দেখতে সমান্য আলাদা। এমনকী তাঁদের বুদ্ধি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয় না। এছাড়াও এই রোগে আক্রান্ত বাচ্চাদের শারীরিক সমস্যাও থাকতে পারে। তবে সকল ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত বাচ্চারই যে শারীরিক সমস্যা থাকবে, এমনটা কিন্তু নয়। এই ডাউন সিনড্রোম রোগে কোনও বাচ্চা আক্রান্ত হলে তার পরিবারকে অত্যন্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ তাঁরা বুঝতে পারেন, সেই বাচ্চার জীবনযাপন হয়ে উঠতে পারে অনেক কঠিন।
তবে এক্ষেত্রে বাচ্চার ডাউন সিনড্রোম রয়েছে কিনা তা জন্মের আগেই কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা যেতে পারে। এবার এই রোগ ধরে ফেলতে পারলে,সমস্যা কাটানো যেতে পারে। কিন্তু এই রোগ নিয়ে জন্মালে আর কিছুই করার থাকে না। নেই তেমন চিকিৎসাও (Treatment)। তবে এই কথা শুনে ঘাবড়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং বাচ্চার দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন খুব বেশি। শুধু তার শারীরিক বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক যত্নও নিতে হবে সমানভাবে। তাতে সে আরও ভালো থাকতে পারবে। আর এখন অনেক স্কুল বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য নিজেদের তৈরি করেছে। সেই স্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি করলে তার সমস্যার সমাধানহতে পারে অনেকটাই। এছাড়া মনে রাখতে হবে যে, এই বাচ্চারা হল স্পেশাল এবং বিশেষ কিছু প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে তারা। অতএব স্পেশাল কেয়ার (Special Care) দরকার তাদের। তবেই সে এবং আপনি বা আপনারা ভালো থাকতে পারবেন।
(Feed Source: zeenews.com)