‘ভেবেছিলাম, কিছুই বলব না…আবার বলা শুরু করলাম’, কী বললেন পার্থ?

‘ভেবেছিলাম, কিছুই বলব না…আবার বলা শুরু করলাম’, কী বললেন পার্থ?

অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতে পরিচিত মহলে বিস্ফোরক বক্তব্য প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। কিছু না বললে সব বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য তাঁর।

কী বলেছেন পার্থ:
সূত্রের খবর, পরিচিত মহলে পার্থ বলেছেন, ‘ভেবেছিলাম, কিছুই বলব না, এখন দেখছি না বললে আমার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। না বললে আমার বিরুদ্ধে যাচ্ছে, তাই আবার বলা শুরু করলাম।’ নিজের প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, ‘৫ বছর ধরে যে লোকটা রাস্তায় বসে কাজ করছে, করোনা সামলেছে। যে করোনা সামলেছে, সে চুরি করতে পারে না।’ পরিচিত মহলে পার্থ এমনই বলেন বলে খবর সূত্রের। তিনি আরও বলেন, ‘চুরির প্রমাণ নিয়ে এসে বলুক, স্লোগান দিচ্ছে সিপিএমের লোক।’

সকাল ১১.৪২ মিনিটে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের ট্যুইট করেন। সেই ট্যুইটে দিলীপ, সুজন, শুভেন্দুদের নাম দেখা যায়। বেলা ১২টার পরে তিনজনের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে। ট্যুইটে লেখা ছিল, ‘দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি?’তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক।’ কুণাল ঘোষ ট্যুইট করেন ১১.৪২ মিনিটে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালত চত্বরে বললেন বেলা ১২.০৫ মিনিট।

আরও কী বলেন পার্থ:
আদালতে তোলার সময় পার্থকে দেখে চোর চোর স্লোগান ওঠে। এদিন আদালতের সামনে সংবাদমাধ্য়মের কাছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন পার্থ। তিনি বলেন, ‘যে সুজন, দিলীপ-শুভেন্দুরা বড় বড় কথা বলছেন তাঁরা দেখুন উত্তরবঙ্গে কী করছেন। CAG রিপোট পড়ুন। আমি বলেছিলাম আমি করতে পারব না। আমার কাছে এসেছিল সেখানেই আমি বলেছিলাম আমি নিয়

গ-কর্তা নই। আমি পারব না।’

বিরোধীদের তোপ:
এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘১০-১১-১২-র কথা বলছে। আমাকে কেউ চিনত না। রাজনীতিতেও ছিলাম না। যদি প্রমাণ করতে পারেন আমি জেলে গিয়ে থাকব।’ তোপ দেগেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘২০০৯-২০১০-এ নাকি সুপারিশ করা হয়েছিল। তখন উনি কে ছিলেন? বিরোধী দলনেতা ছিলেন সম্ভবত। আমি বলছি তো আপনারা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।  আমি এটাও বলছি আপনারা পারবেন না।’

৫ মিনিট সময়:
এদিন আদালতে ৫ মিনিট সময় দেওয়া হয় পার্থকে। ৫ মিনিট সময়, কোর্টে সওয়াল জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী হওয়া কি অপরাধ? আমি নিয়োগ কর্তা নই। আমি শুধু বোর্ডে ছিলাম, বাকিরাও ছিল, আমি নিয়োগ কর্তা নই। সবাই ছিল বোর্ডের মধ্যে, আমি পড়াশোনায় ভাল ছিলাম।’ আলিপুরে বিশেষ আদালতে সওয়াল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

(Feed Source: abplive.com)