ফের কি পরমাণু যুদ্ধের অশনি সঙ্কেত রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে?

ফের কি পরমাণু যুদ্ধের অশনি সঙ্কেত রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে?

মস্কো: ফের কি পরমাণু যুদ্ধের অশনি সঙ্কেত রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে? সংবাদসংস্থা এএফপি-র দাবি সত্যি হলে আপাতত সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ওই সংবাদসংস্থার দাবি, শনিবার বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া এমন দশটি বিমান উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে যা কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। তবে এই পদক্ষেপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হবে না।  আন্তর্জাতিক মহলের দাবি, গোটাটাই রীতিমতো ভেবেচিন্তে করেছে রাশিয়া।

কী ঘটেছে?
সংবাদসংস্থা ‘টাস’ পুতিনকে বিষয়টি উদ্ধৃত করে জানায়, ‘আমরা লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে কথা বলেছি যাতে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ না করেই বেলারুশে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র  রাখা যায়।’ রুশ রাষ্ট্রপ্রধানের দাবি, আমেরিকাও ইউরোপে তার মিত্রদেশের মাটিতে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে। তাঁর আরও দাবি, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কোই দীর্ঘদিন ধরে সেই দেশে ওই অস্ত্র মোতায়েনের পক্ষে সওয়াল করে আসছেন। সূত্রের খবর, ১ জুলাইয়ের মধ্যে অস্ত্র মজুত ভাণ্ডার তৈরির কাজ শেষ করে ফেলবে রাশিয়া। তবে অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মোটেও মিনস্কে থাকবে না, সেটি জানিয়ে দেন পুতিন। হালেই আমেরিকা বেলারুশের উপর একপ্রস্ত নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। রাশিয়াকে নিরন্তর সমর্থন ও লুকাশেঙ্কোর গণতন্ত্রবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত নেয় জো বাইডেন প্রশাসন। তার পরই পুতিনের এই ঘোষণা।

চরমে সংঘাত…
হালেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির নেপথ্যে চরমে ওঠে সংঘাত। তার মধ্যে আন্তর্জাতিক কূটনীতি তেতে ওঠার আশঙ্কা মাথাচাড়া দেয়। কারণ মাঝ আকাশে মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের। মার্কিন সেনার দাবি, কৃষ্ণসাগরের উপর, মাঝ আকাশে মার্কিন ড্রোনের উপর জ্বালানি ঢেলে দেয় রুশ যুদ্ধবিমান। তার পর সরাসরি ওই ড্রোনকে ধাক্কা মারা হয় (US-Russia Conflict)। তাতে মার্কিন ড্রোনটি  চুরমার হয়ে ভেঙে পড়েছে। যদিও ড্রোনটি ছিল সম্পূর্ণ যন্ত্রচালিত। কোনও প্রাণহানি ঘটেনি (Russia Ukraine War)। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্য়ে সংঘাত আরও বাড়বে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। ইউরোপে মার্কিন সেনা কম্যান্ডের তরফে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক জলসীমার উপর ওই MQ-9 ড্রোনটির অবস্থান ধরে ফেলে রাশিয়ার দু’টি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান। ড্রোনটির ডানা ছেঁটে ফেলা হয়। তার পর সেটির উপর আঘাত হেনে গুঁড়িয়ে দেয় রুশ যুদ্ধবিমান। মার্কিন সেনার দাবি, আঘাত হানার আগে দফায় দফায় MQ-9 ড্রোনটির উপর জ্বালানি ফেলা হয়। ড্রোনের আগে পিছে উড়ে বেড়াচ্ছিল রশ যুদ্ধবিমান দু’টি, যা চূড়ান্ত অপেশারিত্বের পরিচয় এবং পরিবেশের জন্যও বিপজ্জনক। কৃষ্ণসাগরের উপর মার্কিন ড্রোনের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি-ও। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি ওয়াশিংটনে এ নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেন।

(Feed Source: abplive.com)