মালবেরি চাষ করতে ঠান্ডা লাগে, ধারণা ভুল প্রমাণ করে বাড়ির ছাদেই চাষ শিক্ষকের

 মালবেরি চাষ করতে ঠান্ডা লাগে, ধারণা ভুল প্রমাণ করে বাড়ির ছাদেই চাষ শিক্ষকের

বসিরহাট: তুঁত গাছের পাতা রেশম গুটি পোকার প্রিয় খাদ্য। আর এই গাছের থোকায় থোকায় ঝুলছে মালবেরি। পুরো গাছজুড়েই শোভা পাচ্ছে সবুজ, লাল এবং কালো লম্বাটে ছোট ছোট আকারের অসংখ্য মালবেরি ফল। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই মালবেরি গাছের দেখা মিলল বসিরহাটে।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের খোলাপোতার এক শিক্ষক পরীক্ষামূলকভাবে ছাদ বাগানে কয়েকটি গাছ লাগিয়েছিলেন। আর সেই গাছে কয়েক মাসের মধ্যেই সফল্য মিলল। গাছ ভর্তি থোকায় থোকায় ঝুলে আছে মালবেরি। যেন পাতার চেয়ে ফলই বেশি ধরে আছে। গাছের পাতা ডিম্বাকার, চমৎকার খাঁজযুক্ত এবং অগ্রভাগ সূঁচাল। আকারে আঙুরের চেয়ে কিছুটা বড় মালবেরি এই ফল। যা দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়।

এই গাছে সাধারণত শীতের পর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিলেই ফল পাকে। ফলের প্রথম অবস্থায় সবুজ পরে লাল এবং সম্পূর্ণ পাকলে কালো রং ধারণ করে। পাকা ফল রসালো এবং টক-মিষ্টি। মালবেরি গাছ বা তুঁত গাছের ফলে আছে একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পাকা তুঁত ফল উপকারী। এ ছাড়া পাকা ফলের টক-মিষ্টি রস বায়ু ও পিত্তনাশক, কফনাশক ও জ্বরনাশক হিসাবে ভালো ফল দেয়। মূলত এ প্রজাতির তুঁত ফলের জন্য চাষ করা হয়। পাকা তুঁত ফলের রস থেকে জ্যাম, জেলি ও বা পানীয় তৈরি করা যায়।

যার হাত ধরে খোলাপোতায় ছাদ বাগানে পরীক্ষামূলক ভাবে এই চাষ, সেই শিক্ষক জয়দেব ঘোষ বলেন, ‘‘শখের বসে পরীক্ষামূলকভাবে এই মালবেরি গাছ নিয়েছিলাম এক নার্সারি থেকে। এক বছরের মধ্যে ফলন হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় খুব ভালো লাগছে। অনেকেই দেখতে আসে এই গাছ।পরবর্তীতে বাণিজ্যিক আকারে মালবেরি চাষ করার ইচ্ছে আছে।’’

(Feed Source: news18.com)