আবীর ঘোষাল, কলকাতা: চার আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডী কাটিয়ে দলে ফেরানো কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। শুক্রবার রাতে বালুরঘাটের তৃণমূল পার্টি অফিসে হওয়া দণ্ডীকাণ্ড নিয়ে তাঁদের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, ওই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল উঠেছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোরও।
বালুরঘাটের ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দল এই ঘটনা সমর্থন করবে না। কে বা কারা এটা করেছে, তাদের খোঁজ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তপন বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডুর উপস্থিতিতে বিজেপির জেলা মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে গোফানগর অঞ্চলের প্রায় ২০০ জন মহিলা এবং তাঁদের পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন শনকইর গ্রামের বাসিন্দা মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মারডি, ঠাকরান সোরেন এবং মালতী মূর্মূ। সেই কথা চাউর হতেই চার আদিবাসী মহিলাকে বালুরঘাট নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ‘ঘর ওয়াপসি’ হয় তাঁদের। তবে অভিযোগ, বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে পার্টি অফিস পর্যন্ত দণ্ডী কাটিয়ে আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হয় তাঁদের। চার আদিবাসী মহিলার দণ্ডী কাটার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।