রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষে চেন্নাই সুপার কিংসের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং জানিয়েছেন, হাঁটুর চোটে ভুগছেন ধোনি। এর পর থেকেই ধোনিকে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বাড়ছে আশঙ্কা। সিএসকে কোচ একই সঙ্গে বলেছেন, দলের আর এক গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ারকে চোটের কারণে আগামী দু’সপ্তাহ পাওয়া যাবে না। সব মিলিয়ে নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচ হারের পর, চোটের কারণে চাপে পড়ে গিয়েছে চেন্নাই।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে একটা সময়ে চেন্নাই সুপার কিংসের জিততে মাত্র ৩৫ বলে ৭৩ রানের প্রয়োজন ছিল। তখন ধোনি ব্যাট করতে এসেছিলেন। এর পর তিনি রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গী করে বিধ্বংসী মেজাজে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান চেন্নাইকে। সেই সঙ্গে জাড্ডু এবং ধোনি মিলে ম্যাচটিকে শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। শেষ ৬ বলে ২১ রানের প্রয়োজন ছিল। সেই ওভারে সন্দীপ শর্মার বলে ব্যাক-টু-ব্যাক ছক্কাও হাঁকান মাহিষ কিন্তু শেষ বলে প্রয়োজন হয়ে পড়ে ৫ রান। তখন আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে ব্যর্থ হন ধোনি। অন্তত একটি চার হাঁকালেও চেন্নাই ম্যাচটা ড্র করতে পারত। হারতে হত না। তবে শেষ বলে সন্দীপ তাঁর স্নায়ু ধরে রেখে ধোনিকে থামাতে নিখুঁত ইয়র্কার দেন। সেই বলে হয় মাত্র ১ রান। ধোনি শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে তিনটি ছক্কা সহ অপরাজিত ৩২ করেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন। মাত্র ৩ রানে ম্যাচটি হারে চেন্নাই।
ম্যাচের পর ফ্লেমিং বলেছেন, ‘ও (ধোনি) হাঁটুর চোটে ভুগছে। যা ওর কিছু নড়াচড়ায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ওর এতে কিছু সমস্যাই হচ্ছে। ও কিন্তু যে কোনও পেশাদারের মতোই ফিট। টুর্নামেন্টের কয়েক মাস আগে থেকেই ও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। রাঁচিতে নেট অনুশীলন করছিল। তবে চেন্নাইতে আসার এক মাস আগে থেকে ও আসল প্রি-সিজন করে। ও ম্যাচের ফর্মে ফিরতে কঠোর পরিশ্রম করে। এবং সেটা দেখাও যাচ্ছে। ও বেশ ভালো খেলছে। তাই ও কী ভাবে নিজের ফর্ম ধরে রাখবে, তাতে ও সব সময়েই আত্মবিশ্বাসী থাকে। ও যে কোনও মুহূর্তের জন্য সব সময় তৈরি থাকে।’
ধোনির চোট সিএসকের কাছে নিঃসন্দেহে বড় চিন্তার কারণ। তার উপর আবার দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার সিসান্দা মাগালার চোটের ব্যাপারেও জানিয়েছেন ফ্লেমিং। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দলের আরও একজন ক্রিকেটার চোট পেয়েছে। পরপর দু’জন চোট পেল। আমাদের দলে ক্রিকেটারের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। তাই আর কেউ যাতে চোট না পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মাগালা হাতে চোট পেয়েছে। যার ফলে ও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নিজের শেষ ২ ওভারে বোলিং করতেও পারেনি। এর আগের ম্যাচে দীপক চাহারের সঙ্গেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। ফলে আমাদের দলে ফিট খেলোয়াড়ের সংখ্যা কমে গিয়েছে। তবে এমনটা নয় যে শুধু আমাদের দলের ক্রিকেটাররাই চোট পেয়েছে। অন্য দলগুলির ক্রিকেটাররাও চোট পেয়েছে। ২ সপ্তাহের জন্য আইপিএল থেকে ছিটকে গেল মাগালা।’ সিএসকে-র পরবর্তী ম্যাচ ১৭ এপ্রিল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে।
(Feed Source: hindustantimes.com)