‘এক্তিয়ার বহির্ভূত কথা বলছেন বিচারপতি, ওঁর টার্গেট অভিষেক’, পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের

‘এক্তিয়ার বহির্ভূত কথা বলছেন বিচারপতি, ওঁর টার্গেট অভিষেক’, পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের

কলকাতা : বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Gangopadhyay) নজিরবিহীন আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতির অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্রুত জেরা করা উচিত বলে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে ‘রাজনৈতিক দলের ক্যাডার’ বলে আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তৃণমূলের মুখপাত্র-র অভিযোগ, ‘মহামান্য বিচারপতি শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি কিন্তু তাঁর চেয়ারের অপব্যবহার করছেন। ব্যক্তিগত প্রচারের জন্য রাজনৈতিক দলের ক্যাডারে পরিণত হয়ে গিয়েছেন। তিনি টার্গেট করে নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলকে টার্গেট করে নিয়েছেন তিনি। আবোল-তাবোল কথাবার্তা বলছেন। এক্রিয়ার বহির্ভূত, আইন বহির্ভূত কথা বলছেন।’

নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এবিপি আনন্দে তাঁর দেওয়া পুরনো সাক্ষাৎকার দেখিয়ে কুণাল ঘোষের আক্রমণ, ‘উনি তো বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে নিজের গুরু বলেন। যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে বাম জমানা থেকে যে নিয়োগহ দুর্নীতি গুলো শুরু হয়েছে তারও তদন্ত শুরু করানোর অর্ডার দিন।’ পুরনো সাক্ষাৎকারে অভিষেকের মন্তব্যের ভিত্তিতে, জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আদালত আবমাননার দায়ে যদি তিন মাসের জেলের মেয়াদ দিই, তাহলে কিচ্ছু করার থাকবে না। বড়জোড় কিছুদিন পর আমাকে মেরে দিতে পারে।’ যে প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে কুণাল ঘোষের আক্রমণ, ‘উনি আসলে প্রচারের আলোয় থাকতে এসব করছেন। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি রাজনৈতিকভাবে যাতে সুবিধা হয়, সেই কাজ নিশ্চিত করার ব্রত নিয়েছেন। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন কোর্টে বিভিন্ন বিচারকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, তাই তো বিচার ব্যবস্থা চলছে।’

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করার মাঝে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘কেউ অন্যায় করে থাকলে তাঁর শাস্তি হোক। সে উচ্ছন্নে যাক, তৃণমূল কংগ্রেসের তা নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গােপাধ্যায়ের বক্তব্য রাজনৈতিক দলের ক্যাডারের মতো হয়ে যাচ্ছে। ওঁর বিরুদ্ধে কথাগুলো বলার জন্য যদি আদালত অবমাননার জন্য আদালতে ডাকেন, সেটা সামনে দাঁড়িয়ে মুখোমুখি হব। জেলে পাঠালে, যাব জেলে। কিন্তু একটা দলের ভাল কাজ ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এভাবে ক্রমাগত চলতে পারে না। কোনও ভুল হয়ে থাকলে তাঁর প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ তৃণমূল কংগ্রেসকেই দেওয়া হোক।’ পাশাপাশি সিবিআইকে ভর্ৎসনা ও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তদন্ত নিয়ে বক্তব্যের প্রেক্ষিতে, কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ‘তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন উনি।’

(Feed Source: abplive.com)