কলকাতা: ইডেন গার্ডেন্সে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২৩ রানে হারতে হয়েছে কেকেআরকে। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২২৮ রানের বিশাল স্কোর করে অরেঞ্জ আর্মি। কেকেআরের বোলিং এদিন পুরো ব্যর্থ হয়। সানরাইজার্সের হয়ে শতরান করেন হ্যারি ব্রুক ও অর্ধশতরান করেন এইডেন মার্করাম। রান তাড়া করতে নেমে নীতিশ রানা ৭৫ ও রিঙ্কু ৫৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেও শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন কেকেআরের হারের পোস্টমর্টেম করলে একাধিক কারণ উঠে আসছে। সেগুলি হল-
টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত: সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে টস জিতেছিল কেকেআর। বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক নীতিশ রানা। যে বুমেরাং হয়ে যায় নাইটদের কাছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ডিউ সমস্যার সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রানা। কিন্তু ইডেনের সহজ ব্যাটিং উইকেটে ২২৮ রানের বিশাল স্কোর করে সানরাইজার্স চাপে ফেলে দেয় কেকেআরকে। দ্বিতীয় ব্যাটিংয়ে ডিউ সমস্যা থাকলেও এত রান করাটা খুবই শক্ত।
পেসারদের ব্যর্থতা: নতুন বলে কেকেআর পেসাররা একেবারেই ভালো বল করতে পারেনি। নাইটদের দুই তারকা ও অভিজ্ঞ পেসার উমেশ যাদব ও লকি ফার্গুসন কেউ সঠিক লাইন লেন্থে বল করতে পারেননি। উমেশ ৩ ওভারে খরচ করেন ৪২ রান। লকি ফার্গুসন ২ ওভারে দন ৩৭ রান। পেসারদের ব্যর্থতা পরে চেষ্টা করে ঢাকতে পারেনি পেসাররা।
খারাপ ফিল্ডিং: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কেকেআরের হারের অন্যতম কারণ হল খারাপ ফিল্ডিং। ম্যাচে একাধিক ক্যাচ ফেলে কেকেআরষ তার মধ্যে হ্যারি ব্রুকের একটি সহজ কট অ্যান্ড বোল্ড ফেলে দেন সুযশ শর্মা। সেই সময় ব্রুক আউট হলে তিনি না শতরান করতে পারত ও কেকেআরের ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার সুযোগ থাকত।
ওপেনারদের ব্যর্থতা: ২২৯ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটি ভালো শুরু দিতে না পারলে সেই রান তাড়া করা কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে। সেখানে কেকেআরের ওপেনাররা এদিন রহমান উল্লাহ গুরবাজ ০, এন জগদীশান কিছুটা লড়াই করে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। এমনকী প্রথম ডাউন নেমে ভেঙ্কটেশ আইয়রও ১০ করে আউট হয়ে যান।
আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিং ব্যর্থতা: এদিন বল হাতে ৩ উইকেট পেলেও ব্যাট হাতে মাত্র ৩ রান করে আউট হন আন্দ্রে রাসেল। এই মরসুমে এখনও রাসেলের ব্যাটে রান আসেনি। এদিনের ম্যাচে বড় রান তাড়া করার ক্ষেত্রে রাসেলের মাসেল পাওয়ারের দরকার ছিল। কিন্তু মায়াঙ্ক মার্কান্ডের বলে আউট হন তিনি। শুধু তাই নয় প্রশ্ন রয়েছে রাসেলের ফিটনেস নিয়েওয়
নীতিশ রানার অধিনায়কত্ব: ৫ প্রধান কারণের বাইরে আরও একটি কারণ হল নীতিশ রানার অধিনায়কত্ব। ব্যাটিংয়ে ৭৫ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেললেও ফিল্ডিংয়ের সময় নীতিশ রানার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দলে পেসাররা যখন ব্যর্থ হচ্ছে তখন শার্দুল ঠাকুর থাকা সত্ত্বেও পুোর ম্যাচে শার্দুল ঠাকুর বল করেছে মাত্র ৫টি। তাও আন্দ্রে রাসেল চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ায় সেই ওভার শেষ করার জন্য বল করেন শার্দুল। কেন শার্দুলকে বল দেওয়া হল না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও নিজের ব্যাটিং দিয়ে সেই খামতি ঢেকেছেন রানা।