মুখ্যমন্ত্রীই আচার্য, ‘জানিয়ে’ দিলেন ব্রাত্য! ফের রাজভবনের সঙ্গে সংঘাত রাজ্যের?

মুখ্যমন্ত্রীই আচার্য, ‘জানিয়ে’ দিলেন ব্রাত্য! ফের রাজভবনের সঙ্গে সংঘাত রাজ্যের?

কলকাতা: বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে হঠাৎ হঠাৎ পরিদর্শন রাজ্যপালের। আর্থিক অনুদানও দিচ্ছেন তিনি। আর সেই সূত্রেই এবার ফের সংঘাতের আবহাওয়া রাজভবন ও রাজ্যের। অন্তত শুক্রবারের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আধ ঘন্টা ধরে সাংবাদিক সম্মেলনের পর কার্যত তাতেই সিলমোহর দিচ্ছে।রাজ্যপালকে এদিন কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ‘নৈতিকভাবে আচার্য’ বলেও এদিন দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, “আমাদের না জানিয়ে শিক্ষা দফতরকে বাইপাস করেই তিনি করে যাচ্ছেন অনেক কিছু। মুখ্যমন্ত্রীকেও কিছু না জানিয়ে উনি উপাচার্য ঠিক করে দিচ্ছেন। আর্থিক অনুদান দিচ্ছেন। লজেন্স বিলি করছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের রায় মানছেন না।”

প্রসঙ্গত গত সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিট শুরু করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় তে সারপ্রাইজ ভিজিট করেছেন রাজ্যপাল।যা নিয়ে এবার সরব হলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন তিনি অভিযোগ করেন “রাজ্যপাল আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেননি। উনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছেন। বিভিন্নভাবে কথা বলছেন। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই উনি করছেন।”পাশাপাশি এদিন শিক্ষা মন্ত্রী গত জুন মাসে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে রাজ্যপাল কেন সই করছেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

এদিন শিক্ষা মন্ত্রী বলেন “তেলেঙ্গানা সরকারের একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি একটি রায় দিয়েছেন অনির্দিষ্টকাল ধরে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপালের আটকানোর অধিকার নেই। রাজ্যপাল তিন সপ্তাহ আটকাতে পারেন। গত বছর জুন মাসে বিধানসভায় বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য কে হবেন সেই বিল পাস হয়েছিল। তারপর ১০ মাস কেটে গেছে। দু দুটো রাজ্যপাল চলে গেছেন। আমি রাজ্যপাল কে বলব রাজ্যের বাসিন্দাদের সঙ্গে যদি একত্রিত হতে চান দশ মাস ধরে আটকে না রেখে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি যা বলছেন তা মেনে আপনিও এই বিল ছেড়ে দিন।”পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রী এদিন রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে বিধানসভায় বিল ফেরতেরও আবেদন জানান।যা নিয়ে ফের রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চর্চা।

এদিন শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন “দরকার হলে আমরা আবার বিধানসভায় সেই বিল আনব।”প্রসঙ্গত সম্প্রতি রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছিল রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবেই কাজ করবেন। যদিও সেই সময় রাজ্যের তরফে নেতিবাচক কোন বার্তা দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের সমস্যার সমাধান শিক্ষামন্ত্রীকে পাশে বসিয়েই করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই সময় অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালের ভূমিকার প্রশংসা ও করেছিলেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে সরাসরি রাজ্যপালের চিঠি পাঠানো, আর্থিক খরচের বিষয় আগে অনুমোদন চাওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যদিও সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন ও “গোটা বিষয়টির উপর আমরা নজর রাখছি।”কিন্তু এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে সরাসরি রাজ্যপাল কে আক্রমণ করলেন শিক্ষামন্ত্রী যা নিয়ে ফের রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন “আমাদের না জানিয়ে উনি উপাচার্য নিয়োগ করে দিয়েছেন।”

(Feed Source: news18.com)