চলতি বছরে ৭ শতাংশ জিডিপি হতে পারে দেশের, আশা করছেন অর্থমন্ত্রী

চলতি বছরে ৭ শতাংশ জিডিপি হতে পারে দেশের, আশা করছেন অর্থমন্ত্রী

Nirmala Sitharaman: বিশ্ব বাজারে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি প্রভাবিত হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে ভারত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ও বিশ্বব্যাঙ্কের পর এবার দেশের জিডিপি নিয়ে মুখ খুললেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন(Nirmala Sitharaman)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতে, দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার 2022-23 আর্থিক বছরে ৭ শতাংশ হতে পারে।

GDP Growth Rate: আইএমএফের কর্মসূচিতে মন্তব্য
মার্কিন সময় অনুযায়ী, শুক্রবার আইএমএফ সদর দপ্তরে অর্থমন্ত্রী সীতারামন একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন নির্মলা সীতারামন। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ও আর্থিক কমিটির পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে অংশগ্রহণ করে তিনি বলেছেন, কাঠামোগত সংস্কারের পাশাপাশি অনুকূল ডমেস্টিক মানিটারি পলিসি সবার নজর ভারতের ওপর রেখেছে।

Nirmala Sitharaman: অর্থমন্ত্রী কী বলেন ?
দেশের বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থা নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাঙ্ক উভয়ই ২০২৩ সালে ভারতকে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসাবে অনুমান করেছে। ভারতীয় অর্থনীতির গতি অব্যাহত থাকবে ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা 2022-23 অনুসারে, ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার সাত হতে পারে।

Indian Economy: বিশ্বব্যাপী মন্দার আবহের প্রভাব পড়তে পারে ভারতে। চলতি অর্থবর্ষে কমতে পারে ভারতের GDP। সম্প্রতি অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের এই ধারণায় সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (IMF)।

IMF Update: ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে কী ভাবছে IMF
আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিলের (IMF) তরফে বলা হয়েছে, ২০২৩-‘২৪ অর্ষবর্ষে ভারতের ডিজিপি কমতে পারে। সংস্থার জানুয়ারির পূর্বাভাসে এই আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৯ শতাংশ করেছে IMF। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বের অর্থনীতিতে একটি পরিবর্তন এসেছে। সেই অনুযায়ী, বিশ্বের অর্থনীতি কিছুটা হলেও আগের থেকে ভাল জায়গায় এসেছে। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস ও বৃদ্ধি স্থিতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের তাবর অর্থনীতি লক্ষ্য পূরণের বিষয়ে আশা রাখছে। এর আগে টানা মুদ্রাস্ফীতি ও সাম্প্রতিক আর্থিক খাতে অস্থিরতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এটা তারই প্রভাব।

Financial News: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আশায় জল

আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার পূর্বাভাস ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৬.৫ অনুমান থেকে অনেকটাই কম। গত ৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক চলতি অর্থবছরের প্রথম আর্থিক নীতির বৈঠকে চলতি বছরের বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়েছিল। সেই সময় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন করে রোপো রেট বৃদ্ধি করেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই সময় রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল RBI। রেপো রেট হল সেই সুদের হার, যার ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।

ভারতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি (Retail Inflation) ফেব্রুয়ারিতে ৬.৪৪ শতাংশ থেকে মার্চে ৫.৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে।  পাশাপাশি গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৬.১০ শতাংশের থেকে সোজা ৫.৮৯ শতাংশে নেমে এসেছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)