পূর্ব বর্ধমান: রসুন নিয়ে অনেকে ছুঁতমার্গ আছে। বিশেষ করে বাঙালিদের একাংশ রসুনকে আমিষ মনে করেন। তাই পুজো পাঠের জায়গায় তার নো এন্ট্রি। কিন্তু বিভিন্ন পুরনো পুঁথি ঘেঁটে প্রাচীন ভারতে রসুন ব্যবহারের ভুরিভুরি প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এক দিকে যেমন রান্নার স্বাদ আনতে মশলা হিসেবে রসুন ব্যবহার করা হয়, তেমনই তার আছে বহু স্বাস্থ্যগুণ।ছোট্ট এক টুকরো রসুন দূর করতে পারে আপনার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা।
গবেষণায় প্রমাণিত বহু পুষ্টিগুণ লুকিয়ে থাকে ওই ছোট্ট সাদা এক টুকরো রসুনের মধ্যে। যা জানলে হয়ত অবাক হবেন আপনিও। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও রসুনের কার্যকারিতা যথেষ্ট। পাশাপাশি রসুনের সবচেয়ে বড় গুণ হল এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব থেকেও শরীরকে দূরে রাখে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে তা অত্যন্ত কার্যকরী হয়। যারা সারা বছর সর্দি কাশির মত সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য রসুন অত্যন্ত কার্যকরী। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, রোজ সকালে নিয়মিত খালি পেটে এক টুকরো রসুন খেলে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সর্দি-কাশি সহ বহু শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি ঘটে।
রসুনে পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, সোডিয়ামের মত বিভিন্ন উপাদান ভরপুর থাকে। এগুলি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে এবং সেই সঙ্গে মূত্রাশয়ের কার্যকারিতা সচল রাখে। রসুন স্নায়ুতন্ত্রের অসুখ ঠেকাতেও অত্যন্ত কার্যকরী। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে মানুষের খিদে বাড়িয়ে তোলে। রক্তে ব্যাড কোলেস্টরলের মাত্রা কমায় এবং গুড কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে রসুন। সেই কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে প্রথমে এক কোয়া রসুন খেতে বলা হয়। রসুনের উপকারিতার আরও বহু দিক আছে, তাই আপনিও নিয়মিত রসুন খেতে পারেন। (শরীরে বিশেষ কোনও সমস্যা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে রসুন খাবেন)