১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি চালাচ্ছেন? ভুল হচ্ছে, বিদ্যুৎ বাঁচানোর কায়দা শিখে নিন

১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি চালাচ্ছেন? ভুল হচ্ছে, বিদ্যুৎ বাঁচানোর কায়দা শিখে নিন

কলকাতা: প্রবল গরমে জেরবার গোটা দেশ। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে তাপ প্রবাহ। দিনের বেলায় ঘর থেকে বেরোনোই দায়! কড়া রোদ দেখেই চোখে যেন ধাঁধা লেগে যায়!

আর বিগত কয়েক বছর ধরে এই পরিস্থিতি বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে শহরাঞ্চলের বাড়িগুলিতে বাড়ছে এসি-র ব্যবহারও। আগে এসি বিলাসিতা মনে হলেও বর্তমানে তা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। কারণ এসি-র ঠান্ডা হাওয়াতেই মেলে ক্ষণিকের আরাম। কিন্তু এর জেরে বাড়ে বিদ্যুতের বিল। আর অতিরিক্ত ঠান্ডায় শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

তাহলে এসি-র তাপমাত্রা ঠিক কত রাখা উচিত? সেই বিষয়েই কথা বলা যাক। প্রচণ্ড তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা থেকে বাঁচতে আজ সর্বত্রই এসি-র ব্যবহার। অফিস কিংবা শপিং মল অথবা কাফে কিংবা রেস্তোরাঁ – সব জায়গাতেই এসি-র বাড়বাড়ন্ত। ফলে বাড়িতেও এসি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

অনেকেই বাড়িতে এসি-র তাপমাত্রা কেমন রাখা উচিত, সেটা সঠিক ভাবে জানেন না। বেশির ভাগ মানুষই ঘরকে হিমশীতল করে রাখার জন্য ১৮ ডিগ্রিতে এসি-র টেম্পারেচার সেট করেন। কিন্তু এটা কি ঠিক?

আসলে কিছু সময় আগে ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি (বিইই)-র তরফে এসি-র ডিফল্ট টেম্পারেচার ২৪ ডিগ্রি রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। কারণ আগে এসি-র ডিফল্ট টেম্পারেচার সেট করা হত ২০ ডিগ্রিতে।

আসলে বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতি ডিগ্রির জন্য প্রায় ৬ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। কারণ যে তাপমাত্রায় এসি চালানো হবে, কম্প্রেসর তত বেশি কাজ করবে। ফলে বিদ্যুতের বিলের বোঝাও বাড়তে থাকবে।

তাই যাঁরা ১৮ ডিগ্রিতে এসি চালান, তাঁদের বিদ্যুতের বিল বেশি আসবে। এর পরিবর্তে বরং ২৪ ডিগ্রিতে এসি চালানোই ভাল বিকল্প হতে পারে। আসলে মানবদেহের গড় তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফলে এর নিচের যে কোনও তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবেই দেহকে ঠান্ডা করবে। ফলে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত! এমনকী চিকিৎসকদের মতে, মানবদেহের জন্য ২৪ ডিগ্রি একেবারেই উপযুক্ত।

এবার আসা যাক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের প্রসঙ্গে! আমরা যদি এসি-র তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির বদলে ১৮ ডিগ্রি করা হয়, তাহলে ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পরে কম্প্রেসার কাজ করা বন্ধ করে দেবে এবং বিদ্যুতের খরচ বাড়বে। যদি ২৪ ডিগ্রিতে টেম্পারেচার সেট করি, তাহলে প্রায় ৬ গুণ অর্থাৎ ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

(Feed Source: news18.com)