গুজরাতে এবার ‘মিষ্টি বিপ্লব’, ৬ বছরে ৬ গুণ আয় বেড়েছে কৃষকদের!

গুজরাতে এবার ‘মিষ্টি বিপ্লব’, ৬ বছরে ৬ গুণ আয় বেড়েছে কৃষকদের!

গুজরাত: দুগ্ধ বিপ্লবের পর এবার মিষ্টি বিপ্লব। গুজরাতি কৃষকদের কর্মকাণ্ডে এমন কথাই বলছেন অনেকে। অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন দিসার নাগফনা গ্রামের ২৭ বছর বয়সী যুবক পঙ্কজভাই দেশাই। তিনি মৌমাছি চাষ করে প্রতি বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

পঙ্কজ বাণিজ্যে এমকম করেছেন। তবে কৃষিতে ঝোঁক বরাবর। প্রথাগত চাষ নয়, নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের একটি অনুষ্ঠানে ‘মিষ্টি বিপ্লব’-এর কথা বলেন। সেটাই মনে গেঁথে যায় পঙ্কজের। এরপর বনস কাঁথা ডেয়ারির সহায়তায় ওই বছরই মৌমাছি চাষ ও তা থেকে মধু সংগ্রহের উপর ৫ দিনের প্রশিক্ষণ নেন পঙ্কজ। ডেয়ারি থেকে মধু চাষের জন্য তাঁকে ১০টি বাক্সও দেওয়া হয়।

এমন মধুর নাম শুনেছেন কি: ২০১৭ সাল থেকে মধু চাষ শুরু করেন পঙ্কজ। ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। সম্বল ছিল ১০০টি বাক্স। আজ তা ৭০০ বাক্সে পৌঁছেছে। বছরে ২০ হাজার কেজি মধু উৎপাদিত হয়। আজমা, সানফ, ধনে, লিচু, কাশ্মীরি, তিল, ইউক্যালিপটাস সহ ৭ থেকে ৮ প্রকারের মধু উৎপাদন করেন তিনি। বনস ডেইরি এবং অন্যান্য ফার্মাসিস্ট কোম্পানিতে সরবরাহ করা হয়। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কাতারের মতো দেশে বছরে ছয়শ কোটি টাকার বেশি মূল্যের মধু রপ্তানি করে ভারত। ফলে চাহিদা তুঙ্গে থাকে সবসময়।

বনস ডেয়ারি কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়। তারপর দেয় ১০টি বাক্স। যাতে ছোট কৃষকরাও এই চাষ শুরু করতে পারেন। পঙ্কজ এখন বনস ডেয়ারিতেই মধু সরবরাহ করেন। অর্থাৎ তাঁকে বাজার খোঁজার ঝক্কি পোহাতে হয় না। বনস ডেয়ারি ন্যায্য মূল্যে মধু সংগ্রহ করে নেয়। শুরুতে পঙ্কজকেও মধু উৎপাদনে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে, কিন্তু অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি সহজ করে দিয়েছে কাজ। মাত্র ৬ বছরেই তিনি হয়ে উঠেছেন শীর্ষস্থানীয় মধু উৎপাদনকারী। পঙ্কজের সাফল্য দেখে অনেক কৃষকই মধু চাষ শুরু করেছেন। পঙ্কজও কৃষকদের ঐতিহ্যবাহী চাষের পরিবর্তে মধু উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করছেন।

(Feed Source: news18.com)