অভিষেক সভাস্থল ছাড়তেই ব্যালট নিয়ে কাড়াকাড়ি, কোচবিহারের পর এবার জলপাইগুড়িতেও বিশৃঙ্খলা

অভিষেক সভাস্থল ছাড়তেই ব্যালট নিয়ে কাড়াকাড়ি, কোচবিহারের পর এবার জলপাইগুড়িতেও বিশৃঙ্খলা

রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : কোচবিহারের পর জলপাইগুড়ি, তৃণমূলের নবজোয়ারে ফের বিশৃঙ্খলা। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জে তৃণমূলের নবজোয়ারে ব্যালট নিয়ে কাড়াকাড়ি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভাস্থল ছাড়তেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভাস্থল ছাড়তেই ব্যালট নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ও গণভোটের জেরে সকাল থেকেই ভিড় হতে শুরু করেছিল রাজগঞ্জে। বিকেল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপচে পড়ে ভিড়। বিকেলে সভাস্থল হাজির হয়ে সেখানে কথা বলার পর সন্ধে ৭ টা নাগাদ সভাস্থল ছাড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর অভিষেক সভা ছাড়ার পরই গণভোট নিয়ে শুরু হয় তুমুল গন্ডগোল। অভিযোগ, অনেকে ভোট দিতে না পারার জেরে ক্ষোভপ্রকাশ করতে শুরু করেন। অনেকের অভিযোগ, কেউ কেউ একসঙ্গে অনেকগুলি ব্যালট রেখে দেওয়ার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করার পরও ভোট দিতে পারেননি অনেক। আর যে বিশৃঙ্খলার মাঝেই ব্যালট নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়।

যে ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য এখনও করা হয়নি। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে খবর, যাতে রাজগঞ্জে ফের গণভোট সুষ্ঠভাবে আয়োজন করা যায়, সেটা দ্রুত নিশ্চিত করা হবে।  যদিও বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য-র খোঁচা, নব্য তৃণমূল ও আদি তৃণমূলের মধ্যে জেলায় জেলায় বিবাদে যে মানুষ অতিষ্ট সেটা পরিষ্কার হয়ে সামনে চলে আসছে। আর বিভিন্ন জেলার ঘটনাক্রম ক্রমেই প্রমাণ করে দিচ্ছে, শুধু পঞ্চায়েত ভোটেই নয়, তার আগে থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে।

গত ২৫ এপ্রিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা শুরুর দিনই ব্যালটে ভোট নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলার ছবি দেখা গিয়েছিল কোচবিহারের সাহেবগঞ্জে। যেখানেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভাস্থল ছাড়ার পরই ভোটদান ঘিরে বেঁধেছিল যাবতীয় গন্ডগোল। যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তৃণমূলের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলেই খোঁচা দেয় তাঁরা।

(Feed Source: abplive.com)