এমআরআই করাতে গিয়ে মৃত্যু কলকাতার মেধাবী ছাত্রীর, রহস্য চরমে

এমআরআই করাতে গিয়ে মৃত্যু কলকাতার মেধাবী ছাত্রীর, রহস্য চরমে

এমআরআই করতে এসেছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না ছাত্রীর। ভেন্টিলেশনে নিয়ে যাওয়ার পরেও শেষরক্ষা হল না। প্রাণ গেল ছাত্রীর। তবে পরিবারের দাবি, বড় কোনও অসুস্থতা ছিল না তার। আঁকার সময় হাতটা ইদানিং কাঁপছিল। স্নায়ুর কোনও সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে তা ভাবতে পারেননি কেউই। পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মৃতের নাম শ্রীপর্ণা দত্ত। তার বাড়ি আসানসোলে হলেও থাকতেন কলকাতায়। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

বেসরকারি হাসপাতালে এমআরআই করার জন্য এসেছিল ওই ছাত্রী। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের মেধাবী ছাত্রী। স্নায়ুর কিছুটা সমস্যা ছিল। সেকারেণেই চিকিৎসক বলেছিলেন তার এমআরআই করার জন্য। সেই মতো পরিবারের লোকজন তার এমআরআই করার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই মতো শুরু হয়েছিল এমআরআই। কিন্তু এমআরআই করার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যু হয় তার। তবে পরিবারের দাবি হাসপাতালের গাফিলতিতেই এই কাণ্ড হল।কোনও চিকিৎসক ছিলেন না বলে পরিবারের দাবি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের কাছে গাফিলতির অভিযোগ মানতে চায়নি। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল ছাত্রীর?

তার আত্মীয় পরিজন বন্ধুরা জানিয়েছেন, কিছুই তো বুঝতে পারলাম না। আমরা বার বার বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কিছু করতেই চাইল না। আমাদের প্রশ্ন করছিল আপনারা কে। যা করার পুলিশ করবে। আসলে জুনিয়ররা তার এমআরআই করতে গিয়েছিল। তখনই ওরা সমস্যা করে ফেলে। আমরা এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।

এদিকে অপর এক আত্মীয় বলেন, কোথাও কোনও সমস্যা ছিল না। একেবারে সুস্থ। শুধু হাতটা মাঝেমধ্যে কাঁপছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সব শেষ হয়ে গেল। এটা পুরোপুরি হাসপাতালের গাফিলতি। অপর এক ছাত্রী বলেন, এমআরআই করাতে এসে একজন সুস্থ মানুষ এভাবে মারা যাবে এটা মানা যায় না।

গোটা ঘটনায় চাপান উতোর শুরু হয়েছে। কীভাবে ওই ছাত্রীর মৃ্ত্যু হল তা নিয়ে রহস্য চরমে উঠেছে। কোথাও কোনও গাফিলতি ছিল কি না, নাকি নার্ভের বড় সমস্যা ছিল সবটাই দেখা হচ্ছে।

এক আত্মীয়ার অভিযোগ ওদের জামায় রক্তের দাগ লেগেছিল।স্টাফরা ছোটাছুটি করছিল। শ্রীপর্ণার বুকে পাম্পও করছিল। কিন্তু তারপরেই সব শেষ। এমআরআই করার পরে ওর খিঁচুনি হয়েছিল। তারপরেই শেষ। এদিকে তার সিপিআর করা হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।

(Feed Source: hindustantimes.com)