সুখবর ! কয়েকশো কোটির বিনিয়োগে রাজারহাটে হতে চলেছে ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট হাব’

সুখবর ! কয়েকশো কোটির বিনিয়োগে রাজারহাটে হতে চলেছে ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট হাব’

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: রাজ্যে এবার বেসরকারি উদ্যোগে স্কিল ডেভেলপমেন্ট উপনগরী তৈরি হবে। যার থিম হবে স্বাস্থ্য। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি এর জন্য রাজারহাটে ৭২ একর জমি বরাদ্দ করল। সত্যম হোম ডেভেলপমেন্ট এই নয়া ভাবনার উপনগরী তৈরি করবে। যেখানে বিনিয়োগ হবে সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা।

নবান্ন জানিয়েছে, এই নয়া উপনগরীতে আবাসনের পাশাপাশি নার্সিং কলেজ, প্যারা মেডিক্যাল কলেজ-সহ চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে দক্ষ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকবে। তবে মেডিক্যাল কলেজ থাকবে না। এখানে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও তার উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্মাণকারী তৈরি করার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরিচালন ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দেবে। এই উপনগরীতে নির্মীত আবাসনের ২৫ শতাংশ অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাদপদ শ্রেণীর মানুষের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকছে অম্বুজা নেওটিয়া গোষ্ঠী।

অন্যদিকে এবার লিজে নেওয়া সরকারি জমি ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক রাখতে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হলে ফি দিতে হবে। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মূলত শিল্প, আবাসন বা বাণিজ্যিক কাজে দীর্ঘ মেয়াদী লিজের ভিত্তিতে নেওয়া সরকারি জমির ক্ষেত্রেই এই নীতি চালু করা হচ্ছে। এত দিন এধরনের বন্ধক রাখার জন্য সরকারের অনুমতি পেতে কোনও ফি দিতে হত না। এছাড়াও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে শিল্প বা বাণিজ্যিক কাজে নেওয়া জমি হস্তান্তরের জন্যেও লাগবে আলাদা ফি। তবে আবাসন বা বেসরকারি শিল্পতালুকে জমি হস্তান্তরের জন্য এই ফি দিতে হবে না।

আয় বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশানিক মহল মনে করছে। নবান্নের বক্তব্য, শিল্প, আবাসন বা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে রাজ্য বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী লিজের ভিত্তিতে জমি দিয়ে থাকে। এতদিন জমির বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে কোনও আইনি বাধা নেই। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যে অনুমতি নিতে হয়। এখন সেই অনুমতি নিতে ফি লাগবে।

ফি’য়ের পরিমাণ কী হবে? নবান্ন শীঘ্রই তা স্থির করে ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি দেবে। সাধারণত বাণিজ্যের প্রকৃতি অনুযায়ী এই ফি নির্ধারণ করা হবে। যারা বাসস্থানের জন্য ছোট মাপের জমি নিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ফি বড় অঙ্কের হবে না। কিন্তু শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ফি আলাদা হবে।  এছাড়াও বহু বিনিয়োগকারী সরকারি জমি নিয়ে শিল্প করার পর তা হাত বদল করতে চায়। এক্ষেত্রেও আইনি বাধা না থাকলেও সরকারের কাছে জমির নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন জানাতে হয়। এক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার ফি ব্যবস্থা চালু করছে।

(Feed Source: news18.com)