নয়াদিল্লি: রাশিয়া (Russian Oil) থেকে তুলনামূলক ভাবে সস্তায় তেল পাওয়ায় OPEC গোষ্ঠী থেকে ভারতের তেল আমদানির মাত্রা রেকর্ড হারে কমল। তথ্য় বলছে, গত এপ্রিলে OPEC গোষ্ঠী থেকে ৪৬ শতাংশ তেল আমদানি করেছে ভারত (India) যা কিনা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম। রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল পাওয়ায় সেখান থেকে তা আমদানির (Imported Oil) পরিমাণ বেড়েছে অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এরই ফলে OPEC গোষ্ঠী থেকে তেল আমদানির মাত্রা কমেছে।
কী জানা গেল?
একটা সময় পর্যন্ত OPEC গোষ্ঠী থেকে ভারতের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের পরিমাণ ৯০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়ার তেলের দাম কমতে থাকায় এই গোষ্ঠী থেকে ভারতের তেলের আমদানির পরিমাণ কমতে থাকে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পুতিনের দেশে তেলের দাম হুড়মুড়িয়ে কমতে শুরু করেছিল। পাল্লা দিয়ে এ দেশে সেই তেলের আমদানি বাড়তে থাকে। হিসেব বলছে, আপাতত রাশিয়াই এদেশের একক সর্বাধিক অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী। ভারতের আমদানি করা মোট অপরিশোধিত তেলের এক-তৃতীয়াংশই এখন সেখান থেকে আসছে। টানা সাত মাস ধরে এমনই ছবি। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এই মুহূর্তে রাশিয়া একাই সৌদি আরব ও ইরাক থেকে বেশি অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করছে।
যুদ্ধ চলছেই…
এদিকে যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে তেলের দাম পড়ছে, সেই যুদ্ধ এখনও থামার নাম নেই। গত সপ্তাহে ড্রোন পাঠিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করে মস্কো। তার পাল্টা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চরম অভিঘাতের হুঁশিয়ারিও দেয় রাশিয়া। সেই আবহেই ইউক্রেন সীমান্তে রকেট হামলার অভিযোগ ওঠে। তাতে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউক্রেনের দক্ষিণের খেরসন প্রদেশে রকেট হামলা চালায় রাশিয়া। তাতেই ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এমনিতেই খেরসনে কার্ফু চলছিল যাতে সৈন্য-সামন্তকে নির্দিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা যায়। স্থানীয় নাগরিকদেরও তার জন্য বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছিল। সেই আবহেই রকেট হামলা চালানো হয় বলে খবর। বসন্তকালীন হামলার জন্য এই মুহূর্তে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেন। সেই আবহেই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এর আগে, গত বছর নভেম্বরেই খেরসন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় রাশিয়া। ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের মুখে পড়ে সেনা-সামন্ত নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা। তাই নতুন করে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়ায়।
(Feed Source: abplive.com)