কলকাতা নাইট রাইডার্স অর্থাৎ কেকেআর এখন একজন নতুন ফিনিশার পেয়ে গিয়েছে, যে পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে দলকে জেতাতে পারে এবং শেষ বলে চার মেরে দলকে জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। আপনি নিশ্চয়ই এই নতুন ফিনিশারের নাম জানেন। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন রিঙ্কু সিং। যিনি ধারাবাহিকভাবে কেকেআর-এর হয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে চলেছেন। যাইহোক, সোমবার, ৮ মে, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়াম একটি ভিন্ন দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিল। এখানে ভক্তরা প্রায়ই রাসেল… রাসেল… বলে চিৎকার করে উঠতেন, তবে এদিন সেখানেই ভেসে উঠল রিঙ্কু… রিঙ্কু… গর্জন। সোমবার রিঙ্কুর নামে চিৎকার করে উঠেছিল ইডেন গার্ডেন্স।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ বলে চার মেরে কেকেআরকে জয়ী করেছিলেন রিঙ্কু সিং। এই ম্যাচের পরে রিঙ্কু সিং-এর সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক নীতীশ রানা দীর্ঘ কথোপকথন করেছিলেন। সেই ভিডিয়োটি iplt20.com এ শেয়ার করা হয়েছে। এই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে রিঙ্কু সিং ও নীতীশ রানাকে দেখা যাচ্ছে। যেখানে কেকেআর-এর অধিনায়ক রিঙ্কুকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে ইডেন গার্ডেন্সের দর্শকরা আগে রাসেলের নাম ধরে চিৎকার করত এখন তার পরিবর্তে রিঙ্কু… রিঙ্কু… বলে চিৎকার করছে তারা। এই বিষয়টি রিঙ্কু সিং কেমন ভাবে উপভোগ করছিলেন। এর উত্তরে রিঙ্কু সিং খুব সরলভাবে উত্তর দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তার ফোকাস কেবলমাত্র দলের হয়ে ম্যাচ জেতানো। ভক্তরা কী চায় সেই বিষয়টা তার উপর কোনও চাপ ফেলতে পারেনি।
রিঙ্কু সিং বলেছেন, ‘আজ সকাল থেকে আমি অনুভব করেছি যে আজ আমরা ম্যাচ জিতব এবং আমি রান করব। রাসেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে যদি বল মিস হয় তবে আমরা রান করব। আমরা তা করেছি, কিন্তু সে রান আউট হয়ে যায়। যদি রান হয় তাহলে ম্যাচ টাই হয়ে যাবে এবং শেষ বলে রান নেব। রাসেল যখন আউট হলেন তখন মনে মনে ছিল বল যেভাবে আসবে আমি খেলব। এমনকি যখন আমি পাঁচটাতে পাঁচটা ছক্কা মেরেছিলাম। বল, আমার একই মানসিকতা ছিল এই ম্যাচেও কিছুটা চাপ ছিল, যা স্বাভাবিক।’
নীতীশ আরও জিজ্ঞাসা করে বলেন যে আপনি ২০১৮-১৯ সালে এই ভক্তদের সামনে খেলেছিলেন এবং সকলে তখন বলত রাসেল… রাসেল, কিন্তু এখন রিঙ্কু… রিঙ্কু, আপনার কেমন লাগে? এ বিষয়ে রিঙ্কু বলেন, ‘এটা সত্যি। এটাই আমি অর্জন করেছি। এ বছর আমি অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। অনেকে আমাকে সমর্থন করেছেন। এক বা দুই বলে এমনটা হয়েছে যে সব ভক্তরা চিৎকার করে উঠল রিঙ্কু… … আমি যখন খেলছিলাম তখন আমার খুব ভালো লাগছিল। ভক্তদের কোনও চাপ ছিল না। আমি শুধু সেই জোনে ছিলাম যে আমাকে এক বল খেলে ম্যাচ জেতাতে হবে।’
(Feed Source: hindustantimes.com)