মোদি-শাহ-শুভেন্দু-সুকান্ত নয়! বিজেপি কর্মী সাহায্য চেয়েছেন আমার কাছে : অভিষেক

মোদি-শাহ-শুভেন্দু-সুকান্ত নয়! বিজেপি কর্মী সাহায্য চেয়েছেন আমার কাছে : অভিষেক

কলকাতা: মোদি-শাহের কাছে নয় বরং বিজেপি কার্যকর্তা সাহায্য চেয়েছেন তাঁর কাছে। রায়নায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা পৌঁছয় রায়না। সেখানকার কাইতি ফুটবল মাঠের জনসভায় পৌঁছেই বিজেপিকে কটাক্ষ করে এহেন মন্তব্য করেন  অভিষেক। বার্ধক্যভাতা থেকে এলাকায় রাস্তা না হওয়া সবক্ষেত্রে গ্রামের বাসিন্দারা বার বার অভিষেকের সামনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে সব সমস্যা সমাধানেরই আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক৷

উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও রাজনীতি নয়, এমনটাই জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘কিছু বেনোজল ২০১১ সালে রাতারাতি তৃণমূলের বৃত্তে ঢুকে পড়েছিল। সেই বেনোজলকে সরাতে হবে। জামালপুর থেকে বেরিয়ে, আমি রায়নায় আসছিলাম। আমি নানা জায়গায় দাঁড়িয়েছি। আরএসএসের এক যুবক এসে বললেন তিনি বিজেপির কার্যকর্তা। জানালেন গ্রামে আলো নেই৷ বিজেপির কার্যকর্তা সে অমিত শাহকে না বলে আমাদের বলল। আমি করে দেব বলেছি।  উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি তৃণমূল কংগ্রেস করে না।’

পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘গ্রামের কিছু মহিলা আমাকে  নিয়ে গিয়ে রাস্তা দেখাল। পিএমজিএসওয়াই-এর রাস্তা। আমি ওঁদের বললাম, নরেন্দ্র মোদির রাস্তা, কাজ হবে কী করে! আমাকে পানীয় জল নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছে৷ আমি বলেছি পানীয় জল করে দেব। সন্ধ্যার খবরে টক শোতে দেখানো হয় আমাকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ আমি বলি মানুষের চাহিদা আছে আমাকে বলেছে৷ এমন কাজে আমি রোজ ১০০ বার ক্ষোভে পড়তে রাজি আছি।’

রায়নার সভায় কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বিস্ফোরক মন্তব্য করে অভিষেক বলেন, ‘১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র আটকে রেখে দিয়েছে। আমি যদি ভুল বলি তবে আমার নামে মামলা করে দিক। আমি নিজে গেছি ২৫জন সাংসদ নিয়ে।’

প্রসঙ্গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহারের দিনহাটা থেকে শুরু হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রা। বৃহস্পতিবার সেই যাত্রার ১৭তম দিনে ২ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন অভিষেক।  নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের থেকে যা অনেকটাই বেশি। কোচবিহারের থেকে শুরু হওয়া যাত্রা বীরভূমে এসে পৌঁছেছে। গত ১৭ দিনে আটটি জেলায় পৌঁছে গিয়েছে জন সংযোগ যাত্রা। এগুলি হল, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৫০টিরও বেশি জনসভা, ৩৫টিরও বেশি বিশেষ অনুষ্ঠান এবং একাধিক বিরাট রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩,৩৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ইতিমধ্য়েই ১,০০৬টিরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছে গিয়েছে জন সংযোগ যাত্রা।  রাজ্যের প্রতিটি বাসিন্দার কাছে পৌঁছে যেতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর৷ দলের তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূল স্তরের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করাই ছিল এই প্রচার কর্মসূচির উদ্দেশ্য।  জেলার সাড়া দেখে আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যায় মানুষের অংশগ্রহণ আশা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

(Feed Source: news18.com)