তুরস্কে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে প্রাথমিক গণনায় এগিয়ে এরদোয়ান

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে প্রাথমিক গণনায় এগিয়ে এরদোয়ান

তুরস্কে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেখানে ২০ শতাংশ ব্যালট গণনার পর দেখা যাচ্ছে সেদেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাইপ এরদোয়ান এগিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট হওয়াক দৌড়ে। এরদোয়ানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কুলুচদারুলু ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন প্রাথমিক গণনায়। সেখানে ৫৫ শতাংশ ভোট নিজের পক্ষে প্রাথমিক ট্রেন্ডে রাখতে পেরেছেন এরদোয়ান।

উল্লেখ্য, ক্রমেই তুরস্কে তাইপ এরোদায়ান একনায়কতন্ত্রের দিকে হাঁটছিলেন। সেই জায়গা থেকে তাঁর ভোটে দাঁড়ানো কার্যত তাঁর কাছে একটি চ্যালেঞ্জের সামিল। এদিকে, কেমাল কুলুচদারুলু পক্ষের সমর্থক নেতারা বলছেন, এই ট্রেন্ড সবেমাত্র এসেছে। ফলে প্রাথমিক ট্রেন্ড দেখে কোনও কিছু নির্ধারণ করা যাবে না। এখনও ভোটের গণনায় তাঁরা ‘পজিটিভ’ দিকে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। এরদোয়ান ২০০৩ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে তুরস্ক শাসন করেছেন। প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা বলছে, যে তিনি এই ন্যাটোভূক্ত দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে তাঁর দুই দশকের সবচেয়ে কঠিন পুনর্নির্বাচনের লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন। যে দেশ এই মুহূর্তে গণতন্ত্র ধরে রাখার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। এছাড়াও তুরস্কে রয়েছে অর্থনৈতিক চাপানোতর। ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান টানা পাঁচ বার সেদেশের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েছেন। অন্যদিকে, কেমাল কুলুচদারুলু গোটা দেশের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন যে, তিনি সরকারে আসলে দেশে গণতন্ত্রকে তিনি ভূলুণ্ঠিত হতে দেবেন না। এদিকে সেদেশের ভোটের নিয়ম মাফিক, যদি কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, তাহলে বিজয়ী ২৮ মে রান-অফের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

তুরস্কে ভোটাররা সংসদে ৬০০ আইন প্রণেতাদেরও নির্বাচিত করেছেন। যা ক্রমাগতভাবে এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন সরকারে থেকে তার ক্ষমতা হারাচ্ছে। তবে তুরস্কের রাজনৈতিক বিধি ও সমীকরণ বলছে, রাজনৈতিক জোট জয়ী হলে এরদোগান খুব বেশি বাধা ছাড়াই শাসন চালিয়ে যেতে পারবেন। বিরোধীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তুরস্কের শাসন ব্যবস্থাকে সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরিয়ে দেওয়া হবে যদি তাঁরা রাষ্ট্রপতি এবং সংসদীয় উভয় ব্যালটে জয়লাভ করেন। উল্লেখ্য এই ভোটে ৭৪ বছর বয়সী কেমাল কুলুচদারুলু ছয়টি পার্টির জোট নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছে। তুরস্কের ৬৪ মিলিয়ন মানুষ এই ভোটে অংশ নিচ্ছেন। যাঁদের মধ্যে ৩.৪ মিলিয়ন প্রবাসী ভোটার রয়েছেন। উল্লেখ্য, চিরকালই তুরস্কে ভোটারের সংখ্যা বেশি। যা থেকে বোঝা যায় সেদেশে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা।

(Feed Source: hindustantimes.com)