মামাবাড়ি থেকে শিখে শ্বশুরবাড়িতে গাঁদা চাষ করছেন মুন্নি, আসছে লাখ-লাখ টাকা, দেখুন

মামাবাড়ি থেকে শিখে শ্বশুরবাড়িতে গাঁদা চাষ করছেন মুন্নি, আসছে লাখ-লাখ টাকা, দেখুন

বিয়েবাড়ি থেকে অনুষ্ঠান কিংবা নিত্যপুজো, গাঁদা ফুলের চাহিদা সবসময়ই তুঙ্গে। সহজে পাওয়াও যায়। তবে বিয়ের মরশুমে চাহিদা বাড়ে। গাড়ি, বাড়ি, মণ্ডপ সাজানো-সহ অন্যান্য কাজে গাঁদা ফুলই ব্যবহার করা হয়। তাই এই ফুলের চাষে ব্যাপক মুনাফার সম্ভাবনা রয়েছে। ফাঁকা জমি থাকলে, সেখানে গাঁদা ফুলের চাষ করে ভাল আয় করা যায়।

পালামু জেলার পান্ডু ব্লকের তিসিবার গ্রামের বাসিন্দা মুন্নি দেবী গাঁদা ফুলের চাষ করেই মোটা টাকা উপার্জন করছেন। মামাবাড়িতে তাঁর ভাইয়েরা গাঁদা ফুলের চাষ করেন। সেখান থেকেই শেখা। মুন্নি বলেন, ‘ভাইদের চাষ দেখে মনে হয়েছিল, আমিও করতে পারব’। বর্তমানে শ্বশুরবাড়ির ১০ একর জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করছেন মুন্নি। ২০১৯ সালে প্রথমবার গাঁদা ফুলের চাষ শুরু করেন। ভাল লাভ হয়। তাই দেখে প্রতি বছর উৎপাদনও বাড়াতে থাকেন মুন্নি।

একটা মালার দাম ১৫ টাকা:  মুন্নি দেবী জানান, গাঁদা ফুলের চাষ করতে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। কলকাতা থেকে গাছপালা নিয়ে আসেন। গাঁদা গাছের চারা বছরে দু’বার রোপণ করা হয়। বড় এবং সুগন্ধি ফুলের জন্য, প্রচুর পরিমাণে সার এবং জল প্রয়োগ করা হয়। তিনি জানান, তিন মাসেই ফুল তৈরি হয়ে যায়। চাহিদার ভিত্তিতে বিক্রি হয় গাড়োয়া পালামুর বিভিন্ন এলাকায়। একটি মালার দাম ১৫ টাকা। এতে ভাল-ই লাভ থাকে।

মুন্নি জানান, বছরে দুবার গাঁদা ফুলের চাষ করা হয়। বছরের শুরুতে, জানুয়ারি মাসে চারা রোপণ করা হয়, যা গ্রীষ্মের মরশুম আসার আগে প্রস্তুত হয়ে যায়। রামনবমী, নবরাত্রি এবং বিয়ের মরশুমে বিক্রি হয়। অন্য দিকে, অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বার চারা রোপণ করা হয়। শীতের মরশুমে ফুল হয়। এই ফুলে মালা এবং সাজসজ্জার ব্যবসা হয়।

গাঁদা ফুলের চাষ: গাঁদা মূলত শীতল আবহাওয়ার ফুল। ঠান্ডায় এর গুণমান ভাল থাকে। তবে বর্ষা, শীত ও গ্রীষ্ম এই তিন ঋতুতেই চাষ হয়। ফসলের জন্য প্রথমে মাটি তৈরি করা হয়। তারপর দেওয়া হয় জল। এরপর চারা রোপণ।

(Feed Source: news18.com)