চেন্নাই সুপার কিংসের সমর্থকেরা ২০২৩ আইপিএলে সবচেয়ে সক্রিয় ছিলেন। চিপকের খেলা প্রতিটা ম্যাচেই তারা গলা ফাটিয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। তবে এখানেই শেষ নয়। এই বছর সিএসকে ভক্তরা এই মরশুমে যেখানে যেখানে দল খেলেছে, প্রতিটা ভেন্যুতে গিয়েই দলের সমর্থনে গলা ফাটিয়েছেন। তবে দলের থেকেও বেশি মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য তাঁরা আবেগে ভাসছেন।
রবিবার চেন্নাই সুপার কিংস ২০২৩ আইপিএলের লিগ পর্বের চূড়ান্ত হোম ম্যাচ খেলে। ম্যাচ হারের পরেও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সঙ্গে নিয়ে দলের সব প্লেয়ার, সাপোর্ট স্টাফ- পুরো টিমই মাঠ প্রদক্ষিণ করে। ধোনি আবার ভক্তদের উপহার বিতরণ করেন। টেনিস ব়্যাকেটের মাধ্যমে কিছু বল গ্যালারিতে পাঠান। তবে এ সবের মাঝে একটি বিষয় ধোনির ভক্তদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
ম্যাচ-পরবর্তী এই সব উৎসবের মাঝে দেখা গিয়েছে, ধোনির বাঁ-হাঁটুতে একটি বরফের প্যাক লাগানো। শক্তি করে সেটা বেঁধে রাখা হয়েছে হাঁটুতে। হাঁটুর চোট নতুন নয়। ২০২৩ পুরো মরশুমে বেশ কয়েক বার ধোনিকে চোটের কারণে অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গিয়েছে। তবুও তিনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। ব্যাট হাতে খুব বেশি না খেললেও, উইকেটের পিছনে এখনও সমান ক্ষুরধার ধোনি।
গত মাসের শুরুতে সিএসকে প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং বলেছিলেন যে, ধোনি প্রাক-মরশুম শিবির থেকেই সমস্যায় ভুগছিলেন। ফ্লেমিংয়ের দাবি ছিল, ‘তিনি হাঁটুর চোটে ভুগছেন। যেটা ওর নড়াচড়ায় দেখা যাচ্ছে। যা ওকে কিছুটা সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। কিন্তু তার পরেও ও লড়াই করছে। ও একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়। ওর ফিটনেস বরাবরই খুবই পেশাদার। ও টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার এক মাস আগে শিবিরে যোগ দেয়, তাই ও প্রস্তুতির জন্য খুব বেশি সময় পায়নি।’
রবিবার প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম দল হওয়ার সুযোগ ছিল সিএসকে-র। কিন্তু তারা কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে তারা হেরে বসে থাকে। নাইটরা এক দশকেরও বেশি সময় পরে চিপকে প্রথম জয় নিশ্চিত করে। রবিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিল সিএসকে। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করেছিল চেন্নাই। ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে ফেলে নাইটরা। ৬ উইকেটে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে কলকাতা নাইট রাইডার্স। রবিবার ১১ বছর পর সিএসকে-র ঘরের মাঠে তাদের হারাল নীতীশ রানার দল।
(Feed Source: hindustantimes.com)