নিজের অজান্তেই ডেকে আনছি রোগ! মিষ্টির বিকল্প বলে যা কিনছি, তা আরও বিপজ্জনক, দাবি WHO-র

নিজের অজান্তেই ডেকে আনছি রোগ! মিষ্টির বিকল্প বলে যা কিনছি, তা আরও বিপজ্জনক, দাবি WHO-র

নয়াদিল্লি: চিনি খাওয়া এড়াতে বিকল্প পণ্যের সম্ভার বাজারে। স্বাদে মিষ্টি অথচ চিনি নেই, তা দেখেই হুমড়ি খেয়ে কিনে ফেলছি আমরা। কিন্তু তা নিয়ে এ বার সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation/WHO)। চিনিহীন মিষ্টি (Non-sugar Sweeteners) বলে বাজারে যে বিকল্প পণ্য পাওয়া যায়, তা বিপজ্জনক বলে জানাল তারা। যতটা সম্ভব এই সব পণ্য এড়ানো যায়, ততই ভাল বলে জানিয়েছে তারা (Sugar Substitutes)।

ওজন আরও বাড়তে পারে, যা একেবারে অস্বাস্থ্যকর

চিনিহীন মিষ্টি বলে বাজারে যা কিনতে পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে WHO. তাতে বলা হয়েছে, চিনিহীন মিষ্টি বলে যে পণ্য বাজারে বিক্রি হয়, তাতে ওজন আরও বাড়তে পারে, যা একেবারে অস্বাস্থ্যকর। এতে স্যাকারিন, সাইক্লামেটস, অ্যাসপার্টেম, নিওটেম, সুক্রাক্লোজ, স্টেভিয়ার মতো উপাদান থাকে, সে প্যাকেটবন্দি পণ্যই হোক বা বোতলবন্দি পানীয়।

WHO জানিয়েছে, চিনির বিকল্প হিসেবে চিনিহীন মিষ্টি ওই পণ্য কিনে থাকেন অনেকেই। তাতে কম ক্যালরি রয়েছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করেন। কিন্তু এতে দীর্ঘমেয়াদি কোনও সুফল মেলে না। না প্রাপ্তবয়স্ক, শিশু, সুফল পান না কেউই। বরং এই সব শরীরে গেলে অবাঞ্ছিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। টাইপ টু ডায়বিটিস, কার্ডিভাস্কুলার ডিজিস যেমন হতে পারে, তেমনই প্রাপ্তবয়স্কদের আয়ুও কমে যেতে পারে।

WHO-র পুষ্টি এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের ডিরেক্টর ফ্রান্সেসকো ব্র্যাঙ্কা বলেন, “চিনির পরিবর্তে চিনিহীন মিষ্টি পণ্য খেলে দীর্ঘদিন ওজন মোটেই নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অন্য উপায় খুঁজে বের রতে হবে, যেমন, মিষ্টি ফল খেতে পারেন, যা স্বাভাবিক ভাবেই মিষ্টি।” চিনিহীন মিষ্টি পণ্যের কোনও পুষ্টিগুণ নেই, কম বয়স থেকে খেতে শুরু করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেও জানান তিনি।

নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে WHO-র তরফে

আগে থেকে ডায়বিটিস রয়েছে যাঁদের, তাঁরা ছাড়া বাকি সকলের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে WHO. তবে ওষুধ বা ত্বকের জন্য ব্যবৃত ক্রিমে এর ব্যবহার করা যেতে পারে। কম ক্যালরি রয়েছে এমন পানীয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটে না বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্য়াস, সঠিক ডায়েট মেনে চলার জন্যই নয়া নির্দেশিকা বলে জানানো হয়েছে WHO-র তরফে।

(Feed Source: abplive.com)