স্কুল শিক্ষকদের ‘ফাঁকিবাজি’ ঠেকাতে নয়া নির্দেশিকা, আসি যাই মাইনে পাই-আর নয়

স্কুল শিক্ষকদের ‘ফাঁকিবাজি’ ঠেকাতে নয়া নির্দেশিকা, আসি যাই মাইনে পাই-আর নয়

অনেকের মতে স্কুল শিক্ষকদের একাংশ আর ফাঁকিবাজি যেন একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। দেরি করে স্কুলে যাওয়া, আগে বেরিয়ে পড়া এটাই যেন অলিখিত নিয়ম একাধিক স্কুলে। এমনকী রাজ্যের বহু স্কুলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, শিক্ষক আসেন দুপুর সাড়ে ১২টার সময়। এরপর কোনওরকমে হাজিরা খাতায় সই করেই বেরিয়ে পড়েন তিনি। এর সঙ্গেই আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ। তবে এবার দেরিতে হলেও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে কড়া নির্দেশ জারি করল সরকার।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের জন্য় এই নির্দেশ জারি করেছে। এদিকে স্কুলে এখন গরমের ছুটি। নিশ্চিন্তে ছুটি কাটাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু গরমের ছুটি মিটলেই এবার তাঁদের নয়া নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। সেখানে ঠিক কী রয়েছে?

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে সময় মেনে চলতে হবে শিক্ষক, শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীদের। স্কুলে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বৃদ্ধির জন্য এই নয়া নির্দেশ। এটাও উল্লেখ করা হয়েছে। ডেপুটি সেক্রেটারি (অ্যাকাডেমিক) সই সম্বলিত এই নির্দেশনামা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে স্কুল শিক্ষকদের একাংশের মধ্য়ে।

এদিকে কোনও শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী যদি অনুপস্থিত থাকেন তবে প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষক বা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।

এদিকে অভিভাবকদের একাংশের দাবি, টিফিনের নাম করে অনেক সময় শিক্ষক শিক্ষিকারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন। এমনকী টিফিন আনতে বাইরে বেরিয়ে যান। এরপর ঢোকেন অনেক দেরিতে। এনিয়ে বহু ক্ষেত্রে নজরদারির কোনও ব্যাপার নেই। আর এজন্য় ভুগতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার নবান্নের মতো হাজিরার যে নিয়ম রয়েছে সেটা মেনে চলতে হবে স্কুলেও। মূল কথা যখন ইচ্ছা স্কুলে আসা বা বেরিয়ে যাওয়া আর নয়।

তবে এই ফাঁকিবাজি যে শিক্ষা দফতর তথা সরকার ভালো চোখে দেখছে না সেটা এই নির্দেশের মাধ্যমেই কার্যত সামনে এসেছে। তবে ইতিমধ্য়েই এনিয়ে শিক্ষক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষকদের একাংশ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেক্ষেত্রে তারা বেশিরভাগ সময়ই দলের কাজে ব্য়স্ত। তার মাঝে সময় পেলে স্কুলে বুড়ি ছোঁয়া করে এসেই ফের বেরিয়ে পড়েন। বাম আমলেও এই প্রবণতা ছিল। তারা এবার আদৌ শৃঙ্খলতা মানবেন কি না সেটাও প্রশ্নের।

(Feed Source: hindustantimes.com)