জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে সেধে আম খাওয়াচ্ছেন? সাবধান…! হানা দিচ্ছে সাংঘাতিক সংক্রমণ

জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে সেধে আম খাওয়াচ্ছেন? সাবধান…! হানা দিচ্ছে সাংঘাতিক সংক্রমণ

কলকাতাঃ একের পর এক আমগাছে হানা দিচ্ছে অসুখ। রেড-ব্যান্ডেড বোরর নামক এক বিশেষ সংক্রমণে জেরবার নালন্দার আম চাষিরা। সাধারণত, এতদিন পর্যন্ত এই রোগটি উত্তর বিহারে বেশি দেখা যেত। তবে সম্প্রতি তা নালন্দাতেও পৌঁছেছে। এই রোগের কারণে গাছের পাকা আম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

প্রাথমিক ভাবে কিছু বোঝা না গেলেও পরে আমের তলায় কালো দাগ হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে আম বাগান করা কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। কোনও ভাবেই একে রোখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এমন একটি রোগ, যা ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করা গেলেও পুরোপুরি নির্মূল করা যায় না।

ছোট সমস্যা নয়:

প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাবে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। প্রাথমিক ভাবে চাষিরা একে ছোট সমস্যা বলে মনে করেন। কিন্তু এই রোগে ধরলে আস্তে আস্তে ফল শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এই বিষয়ে নিউজ ১৮-এর তরফে কথা বলা হয়েছিল নালন্দা উদ্যান মহাবিদ্যালয়ের ফল বিশেষজ্ঞ ড. প্রীতি সিংহের সঙ্গে। তিনি জানান, এটি এক ধরনের কীট। আমের ফলন শুরু হওয়ার পরে প্রথমে নিচের অংশে কালো দাগ তৈরি হয়। সেটা খুব ছোট হতে পারে। কিন্তু পরে তা বাড়তে বাড়তে গোটা ফলটিতে ছেয়ে যায়। একেবার গর্ত করে ঝাঁঝরা করে দেয়। শেষ পর্যন্ত ফল শুকিয়ে যায়।

এখনও পর্যন্ত এই রোগের প্রভাব বিশেষ করে উত্তর বিহারে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এই রোগের হানাদারি শুরু হয়েছে নালন্দাতেও। তবে আশার কথা, নালন্দার গিরিয়াক ব্লকের ইশুয়া গ্রাম ছাড়া অন্য কোনও ব্লক থেকে এই রোগ সম্পর্কে কোনও অভিযোগ এখনও আসেনি। কিন্তু সতর্ক থাকা কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। গাছ বাঁচাতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। প্রীতি বলেন, রেড ব্যান্ডেড বোরর একটি কৃমি জাতীয় কীট। এটি পাশাপাশি দু’টি আমের উপর লার্ভা আকারে জন্ম নিতে পারে। তারপর তা থেকেই ছড়ায় রোগ।

কী করবনে কৃষক:

ড. প্রীতি সিংহ বলেন, রোগ হওয়ার আগে থেকেই ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাগান খুব ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। এই রোগটি যদি বাগানে একবার ধরে যায়, তাহলে তা নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

এ জন্য প্রতিদিন বাগান পরিচর্যা করতে হবে। যে ফলটি রোগাক্রান্ত, তা ছিঁড়ে মাটির ভিতরে পুঁতে দিতে হবে। এছাড়া, রোগের বিস্তার রোধ করতে ৪ মিলিলিটার ক্লোরেন্ট্রানিলিপ্রো এক লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। অথবা, এমামেক্টিন বেনজেট ৪ গ্রাম বা ডেল্টামেথ্রিন ২৮ ইসি প্রয়োগ করা যেতে পারে এক লিটার জলে মিশিয়ে।

(Feed Source: news18.com)