‘কুড়মি-আদিবাসীদের মধ্যে গন্ডগোল লাগাতে চায়’ মণিপুর প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ মমতার

‘কুড়মি-আদিবাসীদের মধ্যে গন্ডগোল লাগাতে চায়’ মণিপুর প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ মমতার

অনির্বাণ বিশ্বাস ও ঝিলম করঞ্জাই, শালবনি : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। আক্রমণের সঙ্গে কুড়মিদের যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়েও চলছে জোর তরজা। এর মাঝেই আক্রমণ প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মণিপুরের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল নেত্রীর আক্রমণ, কুড়মি-আদিবাসীদের মধ্যে গন্ডগোল লাগাতে চাইছে বিজেপি।

গতকালের প্রসঙ্গ টেনে আদিবাসী মেয়ের গায়েও হাত দিয়েছে বিজেপি (BJP), অভিযোগ শানান তৃণমূলনেত্রী। ‘মন্ত্রীর গাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে, আদিবাসী মহিলা, তারও গাড়ি ভেঙেছে। কুড়মিদের নাম করে বিজেপির স্লোগান দিয়ে, তারাই অত্যাচার করেছে। আসলে কুড়মি-আদিবাসীদের মধ্যে গন্ডগোল লাগাতে চাইছে। প্রচুর টাকা নিয়ে যে কাজে নেমেছে।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেনে এনেছেন মণিপুরের প্রসঙ্গও। আগুন লাগলে কিন্তু সবার ঘরেই লাগে, এনআরসি নিয়ে আক্রমণ শানান মমতা। ‘মণিপুরে কী হচ্ছে? কয়েকশো মৃত্যু, আজ পর্যন্ত ওরা যায়নি কেন? মণিপুরে রক্ত ঝরছে, কেউ নাচাগানা করে বে়ড়াচ্ছে। আমিও মণিপুর যেতে চাই, কিন্তু অনুমতি দেবে না। সেখানেও কী হয়েছে জনজাতিদের মধ্যে বিরোধ লাগিয়েছে।’

মমতার আক্রমণ, ‘মণিপুরের মতোই জাতি হিংসা ছড়াতে চায় বিজেপি। এবার কুড়মি আর আদিবাসীদের মধ্যে লাগিয়ে দিতে চায় বিজেপি। গণ্ডগোল করাতে অনেক নেতাকে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছে বিজেপি। অভিষেক, বীরবাহার কনভয়ে হামলা, কিন্তু কিসের জন্য? দিল্লি আমাকে চমকায়, কিন্তু আমি চোখ রাঙানি কেয়ার করি না।’ যার পরে তাঁর আক্রমণ, ‘অশান্তি ছড়িয়ে আর যাই হোক বাংলাকেও শেষ করা যাবে না, তৃণমূলকেও নয়’।

শালবনিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘আদিবাসীদের জমি যাতে দখল না হয়, তার জন্য আমরা ব্যবস্থা করেছি। আমরা জয় জহর করেছি, স্কুল-কলেজে পড়া বিনামূল্যে করেছি, কী বাকি আছে? ভাদুতলা, নেতাই, লালগড়-আমি আগেও দেখে গিয়েছি। একদিন জঙ্গলমহলে আমি আসতাম, চারিদিকে রক্ত’।

এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee) বিজেপিকে আক্রমণ শানান। শালবনিতে নবজোয়ার যাত্রার মাঝে তাঁর বার্তা, ‘ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই, কোনও কাজ হবে না, ১০০দিনের বকেয়া টাকা দিল্লি থেকে ছিনিয়ে আনতে হবে। মোদির কাছে রিমোট কন্ট্রোল থাকলে, জনগণের কাছেও ইভিএম আছে। বুথে বুথে গিয়ে বলুন, নোট পাল্টাবেন না, প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা দিচ্ছে। একদিকে তৃণমূল দিচ্ছে, অন্যদিকে বিজেপি নিচ্ছে’।

(Feed Source: abplive.com)