AI(কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)-কে টেক্কা দিতে নতুন নতুন প্রশিক্ষণ নিন। দক্ষতা বাড়ান। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯০% ক্ষেত্রেই এমন প্রার্থীদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ক ট্রেন্ড ইনডেক্স ২০২৩ রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে।
ভারতের প্রায় ১,০০০-সহ ৩১টি দেশের মোট ৩১,০০০ কর্মীর উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৭৪ শতাংশ ভারতীয় কর্মীই জানিয়েছেন, তাঁরা AI নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাঁরা চিন্তিত যে AI তাঁদের চাকরি খেয়ে নেবে।
‘গবেষণা দেখায় গিয়েছে ৮৩ শতাংশ ভারতীয় কর্মীই তাঁদের নিজেদের কাজের চাপ কমাতে AI দিয়েই যতটা সম্ভব কাজ করিয়ে নিতে ইচ্ছুক,’ এমনটাই বলা হয়েছে রিপোর্টে।
‘প্রোডাক্টিভিটি ব্যাহত করার প্রধান কারণ হিসাবে মিটিংয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ৪৬ শতাংশ ভারতীয় কর্মীই রিপোর্টে জানিয়েছেন, তাঁদের মতে, তাঁরা যত মিটিংয়ে যান, তার অর্ধেক বা তারও বেশিতে অনুপস্থিত থাকলেও তা কারও নজরে পড়বে না,’ লেখা হয়েছে রিপোর্টে।
প্রতিবেদন অনুসারে, শুধু এআই বিশেষজ্ঞদেরই নয়, প্রত্যেক কর্মীরই তাঁদের প্রতিদিনের কাজের জন্য জন্য প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো নতুন দক্ষতা রপ্ত করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘৯০ শতাংশ ভারতীয় নিয়োগকারী সংস্থাই জানিয়েছে, যে নতুন কর্মীদের নিয়োগ করা হচ্ছে, তাঁদের এআই-এর বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে নতুন নতুন দক্ষতার তালিম নেওয়া থাকতে হবে। ৭৮ শতাংশ ভারতীয় কর্মীই জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পূর্ণ রূপে নিজের কাজ করার মতো তালিম নেই,’ বলা হয়েছে রিপোর্টে।
মাইক্রোসফ্ট ইন্ডিয়ার কান্ট্রি হেড, মডার্ন ওয়ার্ক, ভাস্কর বসু বলেন, কাজের ধরনের বদল হচ্ছে। আর এই বদলের সবচেয়ে বড় অংশ হতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
‘AI-এর নতুন নতুন জেনারেশন প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করবে। আমাদের চাকরি ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা, সমস্যা হ্রাস পাবে,’ জানালেন তিনি।
(Feed Source: hindustantimes.com)