হুগলি: স্বামীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির দরজায় ধরনায় বসলেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পান্ডুয়ায়। পারিবারিক বিবাদের জেরে বউকে রাস্তায় ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বামী। নিজের স্বামীকে ফিরে পেতে বুধবার বিকেল থেকে ধরনায় বসেন ওই অন্তঃসত্ত্বা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পান্ডুয়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পান্ডুয়ার হরাল মাঝের পাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় গুরাপের খানপুরের রেহেনা খাতুনের। এক বছর আগে পান্ডুয়ার মেলা পরিচয়, সেই থেকেই প্রেম। ২৫ অক্টোবর ২০২২ সালে দুজনেই রেজিস্ট্রি করেন।
রেহানার অভিযোগ, প্রতিদিন নেশা করে বাড়ি ফিরত তাঁর স্বামী আমিরুল। নিষেধ করলে জুটতো গালিগালাজ ও মারধর। শ্বশুর-শাশুড়ি সৈয়দ আবু নাসের ও সৈয়দ আকতারা বেগমকে বলার পরেও তাঁরা একথা বিশ্বাস করত না, উল্টে বৌমাকেই দোষারোপ করত। এর পরেই একদিন স্বামীকে মাদক সেবন করতে দেখে ফেলেন স্ত্রী। অশান্তি চরমে ওঠে। গত ১১ মে দুপুরবেলা গুরাপ বেলতলা থেকে পান্ডুয়া নিয়ে আসার পথে রেহেনাকে ফেলে রেখে চলে যায় আমিরুল। সেই থেকে আর দুজনের দেখা হয়নি।
বুধবার বেলা তিনটের থেকে শ্বশুরবাড়ির দরজার সামনে ধরনায় বসে গৃহবধূ। সারারাত বাড়ির বাইরেই থাকতে হয় তাঁকে। ওই রাতেই রাত্রে দশটা নাগাদ বাড়িতে তালা বন্ধ করে বেরিয়ে যায় শ্বশুর-শাশুড়ি। খবর পেয়ে শুক্রবার পান্ডুয়া থানার পুলিশ হাজির হয় আমিরুলের বাড়িতে। সেখান থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রেহানা বলেন, ‘আমি চাই স্বামীকে নিয়ে সংসার করতে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না।’ রেহানার শ্বশুর সৈয়দ আবু নাসের ফোনে জানান, ‘ছেলে আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করেছিল। পরে আমরা জেনে মেনে নিই। এখন ওদের মধ্যে কী হয়েছে জানি না। ছেলের কোনও খোঁজ নেই। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও নেই।’
(Feed Source: news18.com)