পঞ্চায়েত ভোট করাতে পর্যাপ্ত পুলিশ কি মিলবে? কোন পথে সমাধান খুঁজছে কমিশন?

পঞ্চায়েত ভোট করাতে পর্যাপ্ত পুলিশ কি মিলবে? কোন পথে সমাধান খুঁজছে কমিশন?

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার চান পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করাতে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ঘোষণার সাংবাদিক বৈঠকে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও তাঁর ইঙ্গিত ছিল সেই দিকেই। রাজ্যের ২২ জেলার ৬৩ হাজার ২৮৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট করানোর মতো পুলিশ কি পাওয়া যাবে? সেই প্রশ্নই এখন প্রধান হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। তবে কী কেন্দ্রীয় বাহিনী তলব করবে কমিশন? এই প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বুঝে তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সিপিআইএম ছাড়া অন্য বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই দাবি মেনে নেয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্য রাজ্য থেকেও পুলিশ আনবে কমিশন। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একটি বৈঠক করেছেন কমিশন। যেহেতু এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন, তাই বুথ ভিত্তিক পুলিশ মোতায়েন করলে বিশাল সংখ্যক পুলিশ কর্মীর প্রয়োজন। সেই সমস্যাই কপালে ভাঁজ ফেলেছে কমিশনের।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ চেয়ে দুটি প্রতিবেশী রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। দু’টি রাজ্যই জানিয়ে দিয়েছে, তারা পুলিশ পাঠাতে পারবেন না। ফলে আরও দুটি রাজ্যকে চিঠি পাঠানো হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

শুক্রবার থেকেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। মনোনয়নের প্রথম দিনই মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের খবর এসেছে। ভরতপুরের সালারে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দু-পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে।

অন্য দিকে কোতুলপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়ে কোতুলপুর ব্লকে গিয়েছিলেন মনোনয়নের ফর্ম তুলতে। আর তখনই বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটি মামলায় হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে ভোট করানো-সহ একাধিক দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস এবং বিজেপি। শুক্রবার বিজেপির আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।