‘আমার মেয়ের মতো ছিল ও, কখনও শারীরিক সম্পর্কই হয়নি!’ চাঞ্চল্যকর দাবি অভিযুক্তের

‘আমার মেয়ের মতো ছিল ও, কখনও শারীরিক সম্পর্কই হয়নি!’ চাঞ্চল্যকর দাবি অভিযুক্তের

মীরা রোড: মহারাষ্ট্রে মীরা রোডে ৩২ বছরের যুবতী সরস্বতী বৈদ্যের খুনের ঘটনায় জোড়ালো হচ্ছে রহস্য। পুলিশি জেরায় ধৃত মনোজ রমেশ সানে দাবি করেছে, সে সরস্বতীকে খুন করেনি। তার দাবি, জুন মাসে ৩ তারিখ আত্মঘাতী হয়েছে সরস্বতী। সেই সময়ে ফ্ল্যাটে মনোজ ছিল না। তখন সে পুলিশি তদন্তের ভয় পায়। তারপরে গাছ কাটার মেশিন দিয়ে সরস্বতীর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে সে। সেই টুকরো গুলো প্রেসার কুকারে সিদ্ধও করা হয়। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে মনোজ। যদিও তদন্তকারীদের সন্দেহ, মনোজই খুন করেছে সরস্বতীকে। জুন মাসে ৪ তারিখ হত্যা করা হয়েছে সম্ভবত।

পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, কেউ যাতে আশেপাশে সরস্বতীর মৃত্যু সম্পর্কে না জানতে পারে তাই জন্য এমনটা করেছিল রমেশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রমেশের রান্নাঘরে তিনটি বাক্স উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই বাক্সে প্রচুর দেহাংশের হদিশ মিলেছে। কিন্তু এখনও সবকিছু মেলেনি। তদন্তে ফরেন্সিকের সাহায্য নেওয়া হবে।

পুলিশি জেরায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করে গেছে মনোজ। পুলিশের জেরায় সে দাবি করেছে, সরস্বতী খুবই পসেসিভ ছিল মনোজকে নিয়ে। রাতে দেরি করে মনোজ বাড়ি ফিরলে কোনও মতেই মেনে নিত না সরস্বতী। তাই নিয়ে মাঝেমধ্যে বচসাও হত। পুলিশের কাছে মনোজ জানিয়েছে, সে এইচআইভি আক্রান্ত। ২০০৮ সাল থেকেই এই রোগে আক্রান্ত সে। একবার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল মনোজ। তখন চিকিৎসার সময়ে সংক্রমিত রক্ত দেওয়ার ফলে মনোজও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। এখনও তার চিকিৎসা চলছে বলে দাবি মনোজের।

পাশাপাশি তার দাবি, সরস্বতী বৈদ্যের সঙ্গে একসঙ্গে থাকলেও কখনও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়নি তারা। মনোজের দাবি, “সরস্বতী আমার মেয়ের মতো ছিল। দশম শ্রেণির এসএসসি পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন সরস্বতী। আমি তাঁকে অঙ্ক শেখাতাম।” এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পুলিশ মনোজের ফ্ল্যাটের দেওয়ালে একটি বড় বোর্ড খুঁজে পেয়েছে। সেখানে বেশ কিছু অঙ্কের লেখাও দেখা গিয়েছে।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মনোজ স্থানীয় একটি পিডিএস দোকানে কাজ করত। প্রায় ১০ বছর ধরে সেই দোকানে ছিল মনোজ। সেখানেই আলাপ হয় সরস্বতীর সঙ্গে। তবে ভয়ানক এই কাণ্ডে গোটা আবাসনের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। তাদের দাবি, পচা গন্ধ বের হচ্ছিল মনোজের ফ্ল্যাট থেকে তারপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ অনেক ডাকাডাকি করলেও মনোজের সন্ধান না পাওয়ায় শেষে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকে।

কিন্তু এই সুযোগে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে লিফটে করে পালানোর চেষ্টা করে মনোজ। ওই আবাসনের কয়েকজন বাসিন্দা লিফটে মনোজকে পালাতে দেখেন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন মনোজ লিফটে করে পালাচ্ছেন। তারপরেই মনোজকে ধরে পুলিশ। আপাতত ১৬ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকবে মনোজ।

(Feed Source: news18.com)