প্রতিস্থাপন নয়, কিডনির জটিল রোগের সমাধান ওষুধে? আশার আলো এনআরএস-এ

প্রতিস্থাপন নয়, কিডনির জটিল রোগের সমাধান ওষুধে? আশার আলো এনআরএস-এ

ওঙ্কার সরকার: কিডনির রোগ সব থেকে ভয়ঙ্কর। মানুষের যে কোনও অঙ্গে আঘাত করতে পারে কিডনির সমস্যা। তবে কিডনির রোগের অন্যতম হল কিডনি স্টোন।  এই রোগের সঙ্গে মোটামুটি সবাই পরিচিত। স্টোন ছাড়াও কিডনির আরও একটা বড় সমস্যা হল আইজিএ নেফ্রোপ্যাথি। এই রোগের ফলে অনেক সময় প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরোতে দেখা যায়।

জটিল এই রোগের চিকিৎসার একমাত্র উপায় কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট অথবা ডায়লিসিস। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই রোগে আক্রান্ত ভারতের প্রতি ছ’জন কিডনি রোগীর একজন।  তবে উপযুক্ত কোনও ওষুধ নেই এই রোগের। তবে এবার দিশা দেখাচ্ছে কলকাতার অন্যতম সরকারি হাসপাতাল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।  সেখানেই এই রোগের ওষুধের ট্রায়াল চলছে।

যে সমস্ত রোগীর বায়োপসি রিপোর্টে আইজিএ নেফ্রোপ্যাথি ধরা পড়েছে তাদের উপরেই এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রায় ১৩২ সপ্তাহ জুড়েই এই পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্তদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ওষুধের  তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলেছে। সেখানেও যথেষ্ট ভাল ফল মিলেছে বলে দাবি চিকিৎসকদেক।

তবে এই রোগ কেন হয়? সেই বিষয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ইউরিনে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। বেড়ে যায় ক্রিয়েটিনিনও। রোগীর প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরতে থাকে। কারও কারও তা না হলেও মাইক্রোস্কোপে দেখলে ইউরিনে ব্লাড মেলে।

এনআরএসের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক পিনাকী মুখোপাধ্যয় বলেন, “ভারতে এই রোগটি ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। এমন কি, রোগ ধরা পড়ার পর খুব দ্রুত রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। তবে একটি নির্দিষ্ট ওষুধের ফেজ থ্রি ট্রায়ালে যথেষ্ট ভাল ফল পেয়েছি আমরা। ইউরিনে প্রোটিন ইউরিয়া নিঃসৃত হওয়া নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। ক্রিয়েটিনিনও কমেছে। ফলে রোগী ও মানবসভ্যতার লাভ হলে সবচেয়ে খুশি হব আমরা।’

এই বিষয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল ফেসিলেটর স্নেহেন্দু কোনার বলেন , ” এটি একটি বিশ্বব্যাপী গবেষণা।  সারা বিশ্বে প্রায় ৩০০ জনের বেশি সংখক রোগীর উপরে এই ট্রায়াল হয়েছে।  এখন রোগীরা পর্যবেক্ষণে আছেন।”

(Feed Source: news18.com)