প্রয়োজন হবে না স্মার্টফোন কিংবা কোনও কার্ডের! কেনাকাটার পর ‘এই’ ভাবে দিন টাকা!

প্রয়োজন হবে না স্মার্টফোন কিংবা কোনও কার্ডের! কেনাকাটার পর ‘এই’ ভাবে দিন টাকা!

প্রয়োজন হবে না স্মার্টফোন কিংবা কোনও কার্ডের! নিজের হাতই কাফি! কেনাকাটার পর এভাবে পরিশোধ করা যাবে টাকা! আজকালকার ডিজিটাল যুগে ফোন ছাড়া একেবারেই চলে না। কিন্তু ফোন একটা বাহ্যিক ডিভাইস। তাই সেটা পড়ে যাওয়া অথবা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ওয়ালেট অথবা মানি ব্যাগের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই রকম। আর সেই সময় কোথাও টাকা দিতে কিছু কিনতে গেলে মুশকিল হয়ে যায়! আর যদি টাকা পরিশোধ করার জন্য ওয়ালেট বা মানি ব্যাগের প্রয়োজনই না হয়! শুধু হাত দিয়েই যদি টাকা পেমেন্টের কাজ হয়ে যায়! এমনটাও কি সম্ভব?

এটাই ঘটেছে চিনে! ওই দেশের মানুষ WeChat পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নিজেদের হাতের তালু স্ক্যান করেই অর্থ পরিশোধ বা পেমেন্ট করছেন। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য! অ্যাপসার্কেলের সিইও তেনসু ইয়েগেন একটি ভিডিও ট্যুইট করেছেন। ওই ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, “চিনে WeChat পাম পে ব্যবস্থা চালু হয়েছে। স্ক্যানিং ডিভাইসটি আসলে বায়োমেট্রিক ডেটা পড়ে নিচ্ছে এবং গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে টাকা কেটে নিচ্ছে। এই ব্যবস্থা কিন্তু দুর্বল আলোতেও কাজ করতে সক্ষম। আর এটি প্রতিটি ব্যবহারকারীর হাতের তালুর অবস্থানও মনে রাখতে পারে।”

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, এক জন ব্যবহারকারী একটি পণ্য কিনছেন। প্রথমে পণ্যের প্যাকেটটি স্ক্যানিং মেশিনে স্ক্যান করা হচ্ছে। এর পরে গ্রাহক পেমেন্ট মেশিনে নিজের হাত স্ক্যান করাচ্ছেন। এতেই পেমেন্ট হয়ে যাচ্ছে। নিমেষের মধ্যে এই ট্যুইটটি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রচুর মানুষ লাইক করেছেন ট্যুইটটি।

এখানেই শেষ নয়, এই ট্যুইটের প্রেক্ষিতে ‘ট্রিপ ইন চায়না’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে আর একটি ভিডিও ট্যুইট করা হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে যে, বেজিংয়ের ভূগর্ভস্থ পথে যাতায়াতের জন্য গ্রাহকরা নিজের হাতের তালু স্ক্যান করে সেখানে প্রবেশ করতে পারেন। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, এক জন ব্যক্তি ভূগর্ভস্থ রেলপথে প্রবেশের আগে নিজের হাতের তালু স্ক্যান করাছেন এবং গেটটি খুলে যাচ্ছে।

ট্যুইটার ব্যবহারকারীরা এই ভিডিওগুলির জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কেউ কেউ তো এটিকে ‘বিস্ময়’ বলে অভিহিত করছেন। আবার অনেকেই মনে করছেন যে, “এই ব্যবস্থা একেবারে নিরাপদ নয়।” কোনও কোনও নেটাগরিক মজাদার কমেন্টও করেছেন। এক জন লিখেছেন, “এখন মেশিনগুলোই বা আর কতটা উন্নত হবে! এখন আমি মেশিনগুলিকেই বলে দেব যে, আমার হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসটাও নিয়ে নিতে!” আর এক জন নেটিজেন মজা করে প্রশ্ন করেন, “এই ব্যবস্থার ফলে ঠাকুরের (শোলে ছবির ঠাকুর) কী হবে?”

তবে পরিশেষে একটাই কথা বলা যায় যে, প্রযুক্তি এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য থেকে শুরু করে আধার সংক্রান্ত তথ্য পর্যন্ত থাকবে। এখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে গ্রাহকদের রেজিউমেও বায়োমেট্রিকে সেভ করা থাকবে। এমনটাই আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোথাও ইন্টারভিউ দিতে গেলে ইন্টারভিউয়ারই হাতের তালু স্ক্যান করে প্রার্থীর সমস্ত বিবরণ, কাজের অভিজ্ঞতা জেনে যেতে পারবেন।

(Feed Source: news18.com)