বাতিল হতে পারে বহু বেসরকারি স্কুলের অনুমোদন, কেন সিদ্ধান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের?

বাতিল হতে পারে বহু বেসরকারি স্কুলের অনুমোদন, কেন সিদ্ধান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের?

কলকাতা: পর্ষদ নির্ধারিত সিলেবাস এবং বই পড়ানো হচ্ছে কি? বেসরকারি স্কুলের কাছে এই মর্মে রিপোর্ট তলব করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যে প্রায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদনপ্রাপ্ত ৪৫৬টি বেসরকারি বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাস মেনেই করাতে হয়। পড়াতে হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নির্ধারিত বইগুলি।

পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য সরকারি বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বইও পাঠ্য হিসেবে রাখতে পারে বিদ্যালয়গুলি। তবে নবম এবং দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি বইগুলিকেই রাখতে হয়। তবে আদৌ বেসরকারি বিদ্যালয়গুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারা নির্ধারিত বই ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছে কিনা সেটা জানতেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একবার বিদ্যালয়গুলির কাছে, কত বই তারা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কিনেছে এবং কত বই তারা বণ্টন করেছে, তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে। কিন্তু মাত্র ১৫-১৬ টি বিদ্যালয় বাদে কেউ বিষয়টিতে সেই অর্থে আমল দেয়নি। এই কারণেই এবার কড়া ভূমিকা নিচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

শীঘ্রই এই রিপোর্ট জমা না করা হলে বিদ্যালয়গুলির অনুমোদন বাতিল করা হবে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির, জানালেন সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ” মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদনপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন খতিয়ে দেখার দায়িত্ব রয়েছে পর্ষদের। প্রতিটা ক্লাসরুমে গিয়ে কীভাবে পড়ানো হচ্ছে সেটা বোঝা বাস্তবে সম্ভব না হলেও পর্ষদ নির্ধারিত বই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছছে কিনা সেটা খুঁজে বের করতেই পারে পর্ষদ”।

কিন্তু বিদ্যালয়গুলির পক্ষ থেকে সেভাবে বিষয়টিতে আমল না দেওয়ায় এবার কার্যত অনুমোদন বাতিলের হুঁশিয়ারি দেওয়া হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলিকে বিনামূল্যেই এই বইগুলি দিয়ে থাকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিকে এই বই কিনতে হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে। সঠিকভাবে সরকারি সিলেবাস মেনে পঠন পাঠন যাতে বেসরকারি স্কুলগুলিতেও হয়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

(Feed Source: news18.com)