বিগ বস ওটিটি-র দ্বিতীয় সিজনে ক্যামেরার সামনেই একে অপরকে চুমু খেয়ে বসেছেন জাদ হাদিদ ও আকাঙ্খা পুরী। এই চুম্বনের দৃশ্যই এখন ‘টক অফ দ্য টাউন’। আপাতত টুইটারে ট্রেন্ডিং আকাঙ্খা-জাদের এই সাহসী চুম্বনের দৃশ্য। বিগ বসের আরও এক প্রতিযোগী অবিনাশ সচদেবের চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করে এই চুমু খান আকাঙ্কা-জাদ। সে তো নাহয় হল, তবে তাঁদের এ হেন কাণ্ডে মোটেও খুশি নন সঞ্চালক সলমন খান। চুমু কাণ্ডে বেজায় চটেছেন সল্লু।
জানা যাচ্ছে, এউ চুমু খাওয়ার টাস্কে বিন্দুমাত্র সম্মতি ছিল না সলমনের। কারণ, বিগ বস OTT-২ এর সাংবাদিক সম্মেলনের সময় এই শোয়ে সুস্থ, পরিবারের সঙ্গে বসে দেখা যায় এমনই বিষয়বস্তু তুলে ধরার কথা বলেছিলেন সলমন। তবে তারপরেও এধরনের ঘটনা ঘটনায় বেজায় বিরক্ত ‘ভাইজান’। শনিবার সন্ধ্যেয় সামনে আসা বিগ বসের নতুন প্রমোতে উঠে এসেছে সলমনের ক্ষোভ। সলমনকে শোয়ের উইকেন্ড কা ভার পর্বে ভীষণই রেগে কথা বলতে দেখা যায়।
প্রতিযোগীদের ঠিক কী বলেছেন সলমন?
বিরক্ত সলমন বলেন, ‘আপনাদের সবার মনে হচ্ছে এটি ছিল সপ্তাহের হাইলাইট। এটা কি আমাদের লালন-পালন, পারিবারিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি অনুযায়ী ঠিক ছিল? আপনি যা করেছন তার জন্য আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই। কারণ এটাকে আমি পাত্তা দিই না। আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি। আমি এই শো ছাড়ছি।’ একথা বলেই মঞ্চ ছেড়ে বের হয়ে যেতে দেখা যায় সলমনকে। তাঁর এমন কথা পদক্ষেপে হতবাক হয়ে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে থাকেন।
এদিকে চুমু খাওয়ার পর আকাঙ্খাকে ‘ব্যাড কিসার’-এর তকমা দিয়েছেন দুবাইয়ের মডেল জাদ হাদিদ। আকাঙ্খাকে চুমু খাওয়া নিয়ে জাদ বলেন, ‘আমি ওকে কিস করছিলাম। আর ও ঠকঠক করে কাঁপছিল। বিনিময়ে ওর কাছ থেকে কিছু আসছিলই না।’ এদিকে আবার জাদ অন্য প্রতিযোগী জিয়া সরকারকে বলেন, ‘ও-ই আমাকে কাছে ডাকে। ওর কাছ থেকেই সিগন্যাল আসছিল।’
এদিকে জাদের এই চুম্বন নিয়ে আকাঙ্খা পুরী বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি এক্কেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। বলেন, ‘আমি চাই জাদ বুঝুক এটা ভারতীয় মহিলা অভিনেত্রীদের জন্য কতটা অস্বস্তিকর।’
এদিকে ‘চুমু কাণ্ড’ নিয়ে আলোচনার মাঝে সলমনের পদক্ষেপে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। সত্যিই সলমন শো ছেড়ে বের হয়ে যান কিনা এখন সেটাই দেখার।
(Feed Source: hindustantimes.com)