Human Brains: ক্রমশ ছোট হচ্ছে মস্তিষ্ক! নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো মানবসভ্যতাই?

Human Brains: ক্রমশ ছোট হচ্ছে মস্তিষ্ক! নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো মানবসভ্যতাই?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একদিকে ক্রমশ বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অন্য দিকে, ক্রমশ কমছে মানুষের বুদ্ধি। যা রীতিমতো উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের, ঘোর সংকটে ফেলে দিয়েছে মানবসভ্যতাকেও। জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতি মাসেই উন্নত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই। কিন্তু, উল্টো দিকে কমতে শুরু করেছে মানুষের আইকিউ লেভেল। ক্রমে ছোট হয়ে আসছে মানুষের মস্তিষ্কের আকারও।

কেন এরকম ঘটছে?

বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, বদলে গিয়েছে মানুষের খাদ্যাভ্যাস। আর এরই গুরুতর প্রভাব পড়েছে মানব মস্তিষ্কে। ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অব ব্রেন কেমিস্ট্রি অ্যান্ড হিউম্যান নিউট্রিশনের প্রফেসর মাইকেল ক্রফোর্ড সতর্ক করেছেন এই বলে যে, গত ৫০ বছরে মানুষের মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলির সংখ্যা যেভাবে কমেছে, তাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো মানবসভ্যতাই। আর এই সংকটের জন্য তিনি দায়ী করেছেন যথেষ্ট পরিমাণে তৈলাক্ত মাছ না খাওয়ার অভ্যাসকে। শিশুদের স্তন্যপান করানোর আগে দীর্ঘ সময় ধরে ভাবী মায়েদের ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, স্তন্যপানের মাধ্যমেই শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। ওমেগা-৩ হল মানব মস্তিষ্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইদানীং সামুদ্রিক মাছ খাওয়া প্রায় ভুলেই গিয়েছে মানুষ। কিন্তু এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফুড ফর দ্য ব্রেন ফাউন্ডেশন নামের এক ওয়েবিনারে প্রফেসর ক্রফোর্ড বলেছেন, ১৯৭০ সাল থেকেই আইকিউ কমছে। এটি খুবই ভয়ের বিষয়। এইভাবে চলতে থাকলে হোমো সেপিয়েন্স নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।

প্রফেসর ক্রফোর্ড মনে করিয়ে দিয়ছেন, হোমো সেপিয়েন্সের কাহিনি কিন্তু শুধু তার শরীরের বৃদ্ধি সম্পর্কিত নয়। হোমো সেপিয়েন্স আলাদা হয়েছে তার মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্যই। তিনি জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকঠাক পুষ্টি না পাওয়ায় হোমো সেপিয়েন্স, অর্থাৎ, মানুষের অস্তিস্তই এখন সংকটের মুখে। ব্যাখ্যা করে প্রফেসর ক্রফোর্ড বলেছেন, বর্তমানে মানুষের মস্তিষ্কের গড় আকার তার পূর্বপুরুষদের মস্তিষ্কের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ ছোট হয়ে গিয়েছে। শুধু যে আইকিউ-ই কমছে, তা নয়, মস্তিষ্ক ছোট হয়ে যাওয়ারও জোরালো প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ সত্যিই চিন্তার বিষয়। কেননা মানবজাতি ভুল পথে চলেছে। আমাদের সন্তান এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

(Feed Source: zeenews.com)